ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৬ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি কথা বা কাজের দ্বারা হেফাজতে আত্মসমর্পণ না করলে পুলিশ অফিসার আইনানুগ ক্ষমতাবলে আইনসংগত উপায়ে তার দেহ স্পর্শ করে আটক করাকে গ্রেফতার বলে।
গ্রেফতারের পদ্ধতি | |
---|---|
পদ্ধতি | আইন |
১। যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে জানাতে হবে। সে কথা বা কার্য দ্বারা আত্মসমর্পণ না করলে তার দেহ স্পর্শ করে গ্রেফতার কার্যকর করতে হবে। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৬(১) ধারা |
২। যাকে গ্রেফতার করা হবে সে যদি গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে পুলিশ অফিসার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৬(২) ধারা |
৩। যাকে গ্রেফতার করা হবে সে যদি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী হয় তাহলে তার মৃত্যু ঘটানো যাবে। আর যদি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী না হয় তাহলে মৃত্যু ঘটানো যাবে না। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৬(৩) ধারা |
৪। যাকে গ্রেফতার করা হবে সে যদি কোন গৃহে আত্মগোপন করে তাহলে সেই গৃহের মালিককে গৃহের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে হবে। গৃহের মালিক দরজা খুলে দেওয়ার পর গ্রেফতার কার্যকর করতে হবে। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৭ ধারা |
৫। গৃহের মালিককে অনুরোধ করার পরও যদি গৃহের দরজা খুলে না দেয় তাহলে পুলিশ অফিসার গৃহের দরজা জানালা ভেংগে গৃহে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকর করবেন। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৮ ধারা |
৬। গৃহে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকর করতে গিয়ে যদি পুলিশ অফিসার গৃহের ভিতর আটকা পড়েন তাহলে গৃহের দরজা জানালা ভেংগে বাহির হতে পারবেন। | ফৌজদারী কার্যবিধী আইন ১৮৯৮ এর ৪৯ ধারা |
৭। আসামী গ্রেফতারের পর তার দেহ তল্লাশী করে পরিধেয় বস্তু ব্যতীত অন্য যেসব জিনিস পাওয়া যাবে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে হেফাজতে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে আসামীর সহিত বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৫১ ধারা |
৮। আসামী যদি মহিলা হন তাহলে একজন নারী পুলিশ দ্বারা আসামীর শালীনতার প্রতি লক্ষ্য রেখে তার দেহ তল্লাশী করতে হবে। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৫২ ধারা |
৯। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেহ তল্লাশী করে যদি কোন অস্ত্র পাওয়া যায় তাহলে পুলিশ অফিসার হেফাজতে নিবেন এবং বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করবেন। | ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৫৩ ধারা |
আইনি পরামর্শ সম্পর্কিত অন্যান্য পোস্টসমূহ- ১১। আইনের ইতিহাস |
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় এই চিংড়ি ঝর্ণার অবস্থান। মূলত বগালেক থেকে কেওক্রাডং এর মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ঘণ্টাখানেক পাহাড়ি পথ… Read More
Chingri Jharna, located in the Ruma Upazila of Bandarban district in Bangladesh, is situated roughly an hour's hike along the… Read More
বাংলাদেশের 'নায়াগ্রা ফলস' খ্যাত আমিয়াখুম জলপ্রপাত। যা বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা নাক্ষিয়ং নামক স্থানে অবস্থিত। বিভিন্ন অঞ্চলে… Read More
The "Nayagra Falls" in Bangladesh is famous as the Amiyakhum Waterfall, located in Thanchi Upazila of Bandarban district on the… Read More
Leave a Comment