কুরআনের আদ্যপান্ত
পরিচয়ঃ-
কুরআন (قران) শব্দটি আরবি, যা “কিরাআতুন ” মাসদার থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর অর্থ হলো অধিক পঠিত ও সংযুক্ত।
যেহেতু কুরআন মাজিদ সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ এবং এর আয়াত ও অর্থের মাঝে পারস্পরিক মিলও রয়েছে তাই এর নাম আল-কুরআন।
🔶কুরআন হলো ঐ আসমানী গ্রন্থ, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত জিবরাইল (আঃ) এর মাধ্যমে নবীকুল শিরোমনি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর সুদীর্ঘ ২৩ বছরে অবতীর্ণ হয়েছে।
🔶কুরআনের ভাষা ও শব্দাবলী স্বয়ং আল্লাহর। কুরআন শাশ্বত ও চিরন্তন। কুরআনের সকল আয়াতের মর্যাদা সমান। কুরআনের যে কোন বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হিসাবে সাব্যস্থ হবে।
পবিত্র কুরআন মাজিদের অনেক নাম রয়েছে:
১. الهدى (আল হুদা) পথ প্রদর্শক
২. الكتاب (আল কিতাব ) গ্রন্থ
৩. الفرقان (আল ফরকান ) পার্থক্যকারী
৪. النور ( আন নুর ) আলো
৫. الذكر ( আয্-যিকির ) উপদেশ
৬. كتاب مبين ( কিতাবুম মুবিন ) সুস্পষ্ট কিতাব
৭. الكلام ( আল কালাম ) কথাবার্তা
৮. الحكمة ( আল হিকমাহ ) প্রজ্ঞা
৯. البيان ( আল বায়ান ) বর্ণনা
১০. بشرى ( বুশরা ) সুসংবাদ
১১. حبل اللَّهُ ( হাবলুল্লাহ ) আল্লাহর রজ্জু
১২. الحق ( আল হাক্ব ) সত্য
১৩. الموعظة ( আল মাওইযাহ ) উপদেশ
১৪. الوحي ( আল ওহি ) প্রত্যাদেশ
১৫. الشفاء ( আশ শিফা ) উপশমকারী
পবিত্র কুরআন মাজিদের ৫০ টির ও অধিক নাম আছে।
✔️আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ৩ আায়াত পড়বে তাকে দাজ্জালের ফিতনা হতে নিরাপদ রাখা হবে”। (তিরমিযি ও মিশকাত)
✔️আব্দুলাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত ; রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ক্বিয়ামতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। অক্ষর অক্ষর ও শব্দ শব্দ স্পষ্টভাবে পাঠ করতে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে স্পষ্টভাবে পাঠ করতেছিলে। কেননা, তোমার জন্য জান্নাতে বসবাসের স্থান হচ্ছে তোমার তেলাওয়াতের শেষ আয়াতের নিকট”। (আহমদ ও মিশকাত)