হজ্জের ফজিলত ও যাদের উপর ফরজ হয়েছে
↔️পরিচয়ঃ↔️
আভিধানিক অর্থঃ- হজ্জ ( الحج ) হলো আরবি শব্দ। হজ্জ এর আভিধানিক অর্থ হলো: ১. সংকল্প করা, ২. ইচ্ছে করা, ৩. বাসনা করা, ৪. নিয়ত করা, ৫. গমন করা ও ৬. পর্যবেক্ষণ করা।
পারিভাষিক অর্থঃ
✔️আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরী’আত নির্ধারিত পন্থায় মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহ যেয়ারত করার সংকল্প করা।
✔️কাবা শরীফে তাওয়াফ, সাফা মারওয়ার সায়ী ও আরাফার মাঠে অবস্থান ইত্যাদি যথারীতি পালন করাকে শরী’আতের পরিভাষায় হজ্জ বলে।
↔️যাদের উপর হজ্জ ফরজ↔️
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
✔️ “মানুষের মধ্য থেকে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে ( নিরাপদ ও সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুমিন ) তাড়া যেন এই গৃহের হজ্জ সম্পন্ন করে, এটি তাদের উপর আল্লাহর অধিকার”। (সূরা আল-ইমরানঃ ৯৭) নোটঃ- হজ্জ জীবনে একবার ফরজ। এরপর যতবার হজ্জ করবে তা নফল হবে এবং যার উপরে হজ্জ ফরজ তার উপর ওমরাহ ওয়াজিব।
✔️আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; তিনি বলেন, আমি বললাম : “হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), নারীদের উপর কি জিহাদ ফরজ ? রাসূল (সাঃ) বললেন- হ্যাঁ, তাদের উপর (এমন) জিহাদ রয়েছে যাতে কোন লড়াই নাই, তা হচ্ছে হজ্জ ও ওমরাহ”। (সহীহ বুখারী ও ইবনে মাজাহ)
↔️হজ্জের ফজিলত↔️
✔️আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; রাসূল (সাঃ) বলেন- “এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহখাতা মোচনের উপায় এবং জান্নাতই হচ্ছে পরিশুদ্ধ হজ্জের একমাত্র পুরস্কার”। ( সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
✔️আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; রাসূল (সাঃ) বলেন- “যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য হজ্জ করল এবং হজ্জের মধ্যে কোন অশ্লীল কথা ও কর্মে লিপ্ত হলো না, সে ঐ দিনের মতো নিস্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করে যেদিন তার মা তাকে প্রসাব করেছিলো”। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)