Categories: Travel Guide

বাকলাই জলপ্রপাত

বাকলাই জলপ্রপাত


বাকলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “বাক্তলাই ঝর্ণা” নামেও পরিচিত। মুলত কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং এর পথে বাকলাই গ্রাম এবং সেখান থেকে এক ঘণ্টা হাঁটা পথ পার হলেই বাকলাই জলপ্রপাতের অবস্থান। বাকলাই গ্রামটি ট্রেকারদের আশ্রয় কিংবা ক্যাম্পিং স্পট হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও এখানে একটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। যার আশেপাশের গ্রাম বা পাড়াগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রায় ২০টি পরিবার বাস করে। রুমা থেকে প্রায় ১১০ কি.মি এবং থানচি থেকে প্রায় ৪৫ কি.মি দূর থেকে বাকলাই জলপ্রপাত স্পষ্ট দেখা যায়। বাকলাই জলপ্রপাতটি প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু। যা বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচু এবং সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অন্যতম ঝর্ণা বলে পরিচিত। তবে উচ্চতা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেননা লিলুক/লাংলোক ঝর্ণা আর বাকলাই ঝর্ণার উচ্চতার সঠিক পার্থক্য এখনও জানা যায়নি। বান্দরবানের পাহাড়ের গভীরে বাকলাই গ্রাম অবস্থিত। স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পাহাড় কেওক্রাডং ও তাজিংডং এর মাঝেই বাকলাই গ্রামটির অবস্থান। এই গ্রামেই দুই ধাপে এই জলপ্রপাতটি নিচের ভূমি স্পর্শ করে।


বাকলাই জলপ্রপাতের ইতিহাস

সঠিক তারিখ জানা যায়নি। তবে আনুমানিক দশ থেকে বারো বছর পূর্বে একদল পর্যটক বান্দরবানের গভীরে ভ্রমণ করতে আসে। প্রায় একমাসের অধিক সময় বান্দরবানের পাহাড় খনন করে। এই ভ্রমণের সময় তারা বাকলাই ঝর্ণাটি উপর থেকে আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে আরেক দল অভিযাত্রী ঝর্ণার কাছে একটি স্থানে গেলে পানির শব্দ শুনতে পারে। ঝর্ণার পানির প্রচন্ড শব্দ শুনে তারা শব্দের উৎস আবিষ্কারের জন্য অগ্রসর হয় এবং বাকলাই ঝর্ণাটি আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে এখানে পর্যটক আসতে শুরু করে। অনেকেই এই জলপ্রপাতের ব্যাপারে জানেনা জন্য এখানে পর্যটক সংখ্যা খুবই কম।

GPS Coordinate অনুযায়ী এই জলপ্রপাতটির অবস্থান-

  • Latitude: N21 52 05.8
  • Longitude: E92 31 04.2
কখন যাবেন
বর্ষায় প্রকৃতি তার নিজস্ব সৌন্দর্যে নিজকে ঘিরে ফেললেও এসময়ে জলপ্রপাত এবং এর আশেপাশের পরিবেশ খুবই ভয়ংকর হয়ে থাকে। তবুও যদি যেতে চান, তবে বর্ষাকালে রুমাগামী জিপ প্রায়শই কইক্ষ্যংঝিড়ি পর্যন্ত যায় এরপর ইঞ্জিন নৌকায় প্রায় ১ ঘন্টার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে রুমাবাজার যেতে হয়। এসময় রুমাবাজার থেকে জলপ্রপাতের সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেটে যেতে হবে। রাস্তা কাঁচা এবং কর্দমাক্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কষ্টসাধ্য হয় বলে শীতকালে লেক ভ্রমণ সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বগালেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে ধারণা করা হয়।
বিশেষ পরামর্শ
থানচি থেকে বাকলাই জলপ্রপাত যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন সুবিধা না থাকায় সম্পূর্ণ পথ হেটে যেতে হবে। তবে হেটে গেলেও দিনের বেলায় অঞ্চলটি বেষ নিরাপদ। কেননা পথে মিলবে বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছোট বসতি। যেমন- টুটং পাড়া, হেডম্যান পাড়া, কাইতন পাড়া ইত্যাদি। বিশেষত এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায় এবং সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দেয়ায় অঞ্চলটি বেশ নিরাপদ। তবে অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা যাবে না। স্থানীয় এবং সেনাবাহিনীর সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। যেখানে সেখানে খোসা বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস এবং বোতল ফেলা ঠিক নয়। যেহেতু আপনাকে পাহাড়ি এলাকার যাত্রার জন্য যেতে হবে তাই যথাসম্ভব ছোট ব্যাগ এবং হালকা জিনিসপত্র নেয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, হালকা খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী,পাওয়ার ব্যাংক রাখবেন।
  • কমপক্ষে ৬ জনের দল গঠন করে ভ্রমন করা সুবিধাজনক।
  • নিজের ভোটার আইডি কিংবা জন্মসনদের কপি রাখবেন।
  • হার্ট দুর্বল হলে জলপ্রপাতের পাদদেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিশেষ সতর্কতা
মুলত বাকলাই গ্রামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায়, কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং ট্রেকের পথে ভ্রমণকারী কিংবা ট্রেকারদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা সহ উপযুক্ত গাইড সেবা পাওয়া যায়। ভয়াবহ পাহাড়ি রাস্তা এবং যথেষ্ট উদ্যোগের অভাবে খুব কম পর্যটকই এই জলপ্রপাতের একদম পাদদেশ পর্যন্ত যেতে পারেন। তবে ২০১৫ সাল থেকে নিরাপত্তাজনিত কারনে এই রুটে যাতায়াত বন্ধ থাকায় থানচি এবং রুমা – এই দুই রুট থেকেই ঝর্ণাটি দেখতে যেতে পারবেন।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে বাকলাই জলপ্রপাতের দূরত্ব
ঢাকা ৪০৫ কি.মি. (কুমিল্লা → ফেনী হয়ে গেলে)
রাজশাহী ৬৪৬ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)

৬৮৮ কি.মি. (কুষ্টিয়া হয়ে গেলে)

রংপুর ৭০২ কি.মি. (বগুড়া → সিরাজগঞ্জ → ঢাকা হয়ে গেলে)

৮৩২ কি.মি. (বগুড়া → নাটোর → কুষ্টিয়া → নারায়ণগঞ্জ হয়ে গেলে)

সিলেট ৫১২ কি.মি.
ময়মনসিংহ ৫১১ কি.মি. (নেত্রকোনা হয়ে গেলে)
খুলনা ৫০২ কি.মি.
বরিশাল ৫৫৬ কি.মি.
চট্টগ্রাম ১৫৩ কি.মি.

বাকলাই জলপ্রপাত যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বান্দরবন যেতে হবে

ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
  • ফকিরাপুল
  • সায়েদাবাদ
  • কলাবাগান
  • আব্দুল্লাহপুর
  • গাবতলী
  • কল্যাণপুর
  • যাত্রাবাড়ি
  • আরামবাগ

(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) 

বাস সমূহ:-
  • শ্যামলী
  • হানিফ
  • এস আলম
  • ডলফিন
  • ইউনিক
  • সৌদিয়া 
  • ঈগল
  • সেন্টমার্টিন
ট্রেন

(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-

  • মহানগর প্রভাতী (৭০৪)
    ছাড়ায় সময় ০৭:৪৫
    পৌছানোর সময় ১৪:০০ (প্রতিদিন)
  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (৭০২) 
    ছাড়ার সময় – ০৪:৪৭ পি.এম
    পৌছানোর সময় – ০৯:৫০ পি.এম (শুধু সোমবার চলে)
  • মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২)
    ছাড়ায় সময় ২১:২০
    পৌছানোর সময় ০৪:৫০ (রবিবার বন্ধ)
  • তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪২)
    ছাড়ায় সময় ২৩:৩০
    পৌছানোর সময় ০৬:২০ (প্রতিদিন)
  • সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৮)
    ছাড়ায় সময় ০৭:০০
    পৌছানোর সময় ১২:১৫ (বুধবার বন্ধ)
  • চট্টগ্রাম মেইল (০২)
    ছাড়ায় সময় ২২:৩০
    পৌছানোর সময় ০৭:২৫ (প্রতিদিন)
  • কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৪)
    ছাড়ায় সময় ০৮:৩০
    পৌছানোর সময় ১৮:০০ (প্রতিদিন)
  • চট্টলা এক্সপ্রেস (৬৪)
    ছাড়ায় সময় ১৩:০০
    পৌছানোর সময় ২০:৫০ (মঙ্গলবার বন্ধ)
বিমান

(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(রাজশাহী থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাস স্টান্ড
  • বানেশ্বর
  • বিনোদপুর
  • কাজলা
  • কাটাখালি
  • পুটিয়া
  • রাজাবাড়ি
  • শিরুল 

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এভারগ্রীন পরিবহন
  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • পদ্মা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো)

বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(রংপুর থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা (কামার পাড়া) বাসস্টান্ড

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
  • শ্যামলী
  • শান্ত ট্রাভেল
  • শাহ্‌ ফতেহ আলী

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(সিলেট থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সিলেট বাসস্টান্ড
  • কদমতলী
  • হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর
  • সোভানি ঘাট

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
  • জালালাবাদ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র শনিবার চলে)
  • উদয়ন এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র রবিবার চলে)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌখিন পরিবহন
  • আলম এশিয়া
  • স্বপ্নভুমি পরিবহন
  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
  • ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • বিজয় এক্সপ্রেস (বুধবার বন্ধ)
বিমান

(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

খুলনা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়

বাস

(খুলনা থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সোনাডাঙ্গা
  • র‍য়্যাল চত্ত্বর
  • রয়্যাল মোড়
  • দৌলতপুর
  • ফকিরহাট
  • ফুলবাড়ি গেট
  • ফুলতলা বাস স্ট্যান্ড
  • কাটাখালি বাস স্টান্ড
  • খুলনা জিরো পয়েন্ট
  • খুলনা বাস স্টান্ড

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • সৌদিয়া কোচ
  • টাইম ট্রাভেলস
  • রয়্যাল ট্রাভেলস

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(খুলনা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনে যেতে হবে)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ)
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

বরিশাল থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায়

বাস

(বরিশাল থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নাটুল্লাবাদ

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-

  • হানিফ 
  • এনা 
  • সোহাগ
  • লাবিবা ক্লাসিক
  • সেভেন স্টার ডিলাক্স
  • সৌদিয়া কোচ

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • বদ্দার হাট
বাস সমূহ:-
  • পূবালী
  • পূর্বানী

বান্দরবন থেকে বাকলাই জলপ্রপাত

রুটসমূহ এবং বর্ণনা:
রুট-০১বান্দরবন রুমা বাজার বগা লেক কেওক্রাডং জাদিপাই ঝর্ণা বাকলাই।

  • বান্দরবান শহরের বাস/চান্দের গাড়ি স্টান্ড থেকে লোকাল বাস কিংবা চাঁন্দের গাড়ি/জীপে করে রুমা বাজার যেতে হবে।
  • রুমা বাজার পৌঁছে প্রথমেই আপনাকে বাধ্যতামুলক রেজিস্টার্ড গাইড ঠিক করে নিতে হবে। রওনা হবার আগে রুমা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে বগালেক যাবার অনুমতি নিতে হবে। অনুমতির জন্যে ভ্রমণকারী সকল সদস্যের পরিচয় লিখিত কাগজে জমা দিতে হবে।
  • অনুমতি নেবার পর রুমাবাজার থেকে বাস বা ল্যান্ডক্রুজার জীপ কিংবা চান্দের গাড়ী ভাড়া করতে হবে। (একটি চান্দের গাড়িতে ৮-১৫ জন যাওয়া যায়।)
  • রুমা থেকে বগালেক পর্যন্ত লোকাল বাস বা ল্যান্ডক্রুজারের রিজার্ভ করতে হবে। (একটি চান্দের গাড়িতে ৮-১৫ জন যাওয়া যায়।)
  • বগালেক পর্যন্ত গাড়িতে এসে হাটা শুরু করতে হবে। অতঃপর কেওক্রাডং হয়ে তাজিংডং যাবার পথেই মাঝে পড়বে বাকলাই গ্রাম।
  • বাকলাই পাড়া থেকে বাকলাই ঝর্ণা ১ ঘন্টার রাস্তা। হাটার উপর সময়টা নির্ভর করবে।

 
রুট-০২: থানচি বর্ডিং পাড়া কাইথন পাড়া বাকলাই পাড়া।

  • সদর থেকে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরত্বে চান্দের গাড়ি প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে নামিয়ে দেবে থানচি বাজারে।
  • এখান থেকে বাধ্যতামুলক রেজিস্টার গাইড নিয়ে বাকলাই ঝর্ণা যেতে হবে।
  • বাকলাই পাড়া যাবার পথে তুতং পাড়া,বোর্ডিং হেডমেন পাড়া,কাইতুন পাড়ার মতো কিছু ছোট ছোট গ্রাম পেরিয়ে যেতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।
  • বাকলাই গ্রাম থেকে ঝর্ণা পর্যন্ত আরও ১ ঘণ্টা। এমনকি জলপ্রপাতের ওপরে উঠতে গেলেও প্রায় ১ ঘণ্টার ট্রেকিং করতে হয়।

ফেরার পথে-

রুট অনুযায়ী বান্দরবনে ফিরে আসতে পারবেন। তবে জেনে রাখা দরকার,এই জলপ্রপাত এখন পর্যন্ত কোনো পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে উঠেনি। তাছাড়া খুব বেশি দুর্গম হওয়াসহ নানা কারণে সেনাবাহিনী সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। তাই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এবং সঠিক গাইডের সহযোগিতায় কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ দিনের একটি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে ভ্রমণে যাবেন। 

সুবিধাজনক রুট এবং আশেপাশের জায়গাগুলো ভালোভাবে দেখার জন্য গাইডের সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলে ও দরদাম ঠিক করে নিতে কোনরূপ দ্বিধা করবেননা। 


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা খাওয়ার জন্য আদিবাসী পাড়ায় সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।)

আবাসিক হোটেলসমূহ বগালেকে থাকার ব্যবস্থা:-
  • আদিবাসীদের ছোট ছোট কিছু কটেজ
  • সিয়াম দিদির হোটেল
  • পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের একটি অত্যাধুনিক রেস্ট হাউজ (নির্মাণাধীন)

থানচিতে থাকার ব্যবস্থা:-

  • বিজিবি নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত অবকাশ কেন্দ্র

বান্দরবানে থাকার ব্যবস্থা:-

  • হোটেল অতিথি, বান্দরবান বাজার
  • হিল সাইড রিসোর্ট, চিম্বুক সড়ক
  • হোটেল গ্রিনহিল, বান্দরবান প্রধান সড়ক
  • হোটেল পূরবী, ভি.আই.পি. রোড
  • হোটেল পাহাড়িকা, বান্দরবান প্রধান সড়ক

(থানচি  পেরুলে অথবা বগালেকের পরে যাত্রাপথে কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় আদিবাসীদের পাড়াগুলোতে থাকতে হবে। সেজন্য উক্ত আবাসিক পাড়া সমূহের বাড়ির মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলে কিংবা গাইডের সহযোগিতা নিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।)

রেস্টুরেন্টসমূহ

পাড়ার যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক বাড়িতে খাওয়ার সুবিধা পাবেন।

বি.দ্রঃ গাইডকে আপনাদের কি প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বললে সাধারণত সেই সব কিছুর ব্যবস্থা করবে।

বান্দরবান থেকে বগালেক যাওয়ার প্রাথমিক দূরত্ব ও ভাড়াসমুহ-

বান্দরবন থেকে রুমাবাজার- (প্রায় ৪৮ কি.মি)

  • লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১২০ টাকা
  • চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ৩০০০-৪০০০ টাকা

পৌঁছানোর সময়- প্রায় ৩ ঘন্টা

রুমাবাজার থেকে বগালেক- (প্রায় ১৭ কি.মি)

  • লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০ টাকা
  • চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ২০০০-২৫০০ টাকা

পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২ ঘন্টা

উল্লেখ্য, উক্ত তালিকাসমূহ শুধুমাত্র সর্বনিম্ন ভাড়ার ধারনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল। তাই সঠিক তথ্যানুযায়ী দরকষাকষি করে নেবেন।


বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইলadmin@biratbazar.com

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
Leave a Comment

Recent Posts

মালনীছড়া চা বাগান

উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রাচীন প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে… Read More

1 week ago

Malnicherra Tea Garden

The Malnicherra Tea Garden, the oldest and largest established tea plantation in the Indian subcontinent, is located on the outskirts… Read More

1 week ago

হযরত শাহজালাল রহ.

শাহ জালাল (রাহ.) বাংলার একজন প্রখ্যাত সুফি দরবেশ। শুধু বাংলার নয়, সম্পূর্ণ পাক-ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি বিখ্যাত। পুরো নাম শাহ জালাল… Read More

1 month ago

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে (বান্দরবান-কেরাণীহাট) সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে… Read More

2 months ago

Meghla Tourism Complex

Meghla Tourism Complex is located at the entrance of Bandarban district, along the Bandarban-Keranihat road, adjacent to the Hill District… Read More

2 months ago

Baklai Falls

Baklai Waterfall is located in Baklai village of Nighting Moujar in Thanchi Upazila of Bandarban District, Bangladesh. Also known as… Read More

3 months ago