যা মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর। এটি বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক জায়গা। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার এর শপথ গ্রহণের স্থান হিসেবে মুজিবনগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরের (তৎকালীন ভবেরপাড়ার বৈদ্যনাথতলা) আম্রকাননে অস্থায়ী সরকার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। আর তাই স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরে সৃষ্ট এই ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত পৌছে দেয়ার জন্য উক্ত স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স। এই স্থপতিটি নির্মাণের কাজ শুরু করেন তানভীর করিম। স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের মূল কাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ স্বাধীনতার অমর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ২৩ টি স্তরের স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলেন।
মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর সেখানে বড় আঙ্গিনায় দেখতে পারবেন একটি বিশাল মানচিত্র, যার মধ্যে যুদ্ধের সময়ে গঠিত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ১১ টি সেক্টরকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দেখতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর স্মারক ম্যূরাল, ঐতিহাসিক আম্রকানন, স্মৃতিসৌধ এবং ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপক উপস্থাপনকারী গোলাপ বাগান। এছাড়াও বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যেখানে শপথ গ্রহণ করেন সেখানে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত সিরামিকের ইট দিয়ে তৈরি একটি লাল মঞ্চ রয়েছে। যা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের ভিতরে মাঝ বরাবর রয়েছে। স্মৃতিসৌধটিতে যে বেদী রয়েছে তা ভূমি থেকে প্রায় ২ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচু এবং এতে প্রায় ১ লক্ষ গোলাকার বৃত্ত আছে যা দ্বারা বুদ্ধিজীবিদের মাথার খুলিকে বোঝানো হয়। স্মৃতিসৌধটিতে বৃত্তাকার উপায়ে ত্রিভূজাকৃতির ২৩ টি দেয়াল রয়েছে। এই ২৩ টি দেয়াল ১৯৪৭ সালের আগষ্ট থেকে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই ২৩ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
(মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে মেহেরপুর যেতে হবে।) |
|
বাস |
ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
(শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে, অটো-রিকশা কিংবা রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স যেতে পারবেন।) |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(থাকা ও খাওয়ার জন্য মেহেরপুরে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।) |
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ভ্রমণের সুবিধা হল-
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com
উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রাচীন প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে… Read More
The Malnicherra Tea Garden, the oldest and largest established tea plantation in the Indian subcontinent, is located on the outskirts… Read More
শাহ জালাল (রাহ.) বাংলার একজন প্রখ্যাত সুফি দরবেশ। শুধু বাংলার নয়, সম্পূর্ণ পাক-ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি বিখ্যাত। পুরো নাম শাহ জালাল… Read More
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে (বান্দরবান-কেরাণীহাট) সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে… Read More
Meghla Tourism Complex is located at the entrance of Bandarban district, along the Bandarban-Keranihat road, adjacent to the Hill District… Read More
বাকলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “বাক্তলাই ঝর্ণা” নামেও পরিচিত। মুলত কেওক্রাডং… Read More
Leave a Comment