fbpx
ভাটপাড়া নীলকুঠি

ভাটপাড়া নীলকুঠি


যা মেহেরপুর জেলা শহরে অবস্থিত। মেহেরপুর থেকে প্রায় ৭ কিমি উত্তর দিকে কাজলা নদীর তীরের পাশে এই নীলকুঠিটি অবস্থিত। এটি ব্রিটিশ আমলে চাষিদের উপর নির্মম অত্যাচারের সাক্ষী বহন করে। ভাটপাড়া নীলকুঠি টি ১৮৫৯ সালে ইট, চুন-শুরকি, লোহার বীম, ইটের টালি ইত্যাদি দিয়ে নির্মাণ করা হয়। ব্রিটিশদের নির্যাতনের সাক্ষী এই ভাটপাড়া নীলকুঠিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট এবং এর প্রস্থ প্রায় ৭০ ফুট। প্রচলিত আছে সেই সময়ে কুঠির গুলোর কাছাকাছি এসে দাঁড়ালে শোনা যেত নর্তকীদের নাচের সাথে নুপুরের আওয়াজ আবার অত্যাচারিত চাষীদের বুক ফাটা আর্তনাদ। বর্তমানে কুঠিরের ধ্বংসাবশেষ গুলো সেই কালের ইতিহাসের সাক্ষী বহন করছে।

২০১৬ সালে ভাতপাড়া নীলকুঠিটি সরকারি উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। সেখানে গেলে আপনারা নীলকুঠিরের ধ্বংসাবশেষ ছাড়াও কৃত্রিম লেক, ঝর্ণাধারা, বিভিন্ন প্রানীর ভাস্কর্য ছাড়াও আরো অনেক কিছুই দেখতে পারবেন।


ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

(ভাটপাড়া নীলকুঠি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে মেহেরপুর যেতে হবে।) 

বাস

ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • গাবতলী
বাস সমূহ:-

  • শ্যামলী
  • এস এম রয়েল
  • মেহেরপুর ডিলাক্স

শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে, অটোরিকশা কিংবা রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে ভাটপাড়া নীলকুঠি যেতে পারবেন।


থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা ও খাওয়ার জন্য মেহেরপুরে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।)

আবাসিক হোটেলসমূহ

  • মেহেরপুর পৌর গেস্ট হাউজ
  • সোহাগ গেস্ট হাউজ
  • মেহেরপুরে হোটেল রনি
  • হোটেল অনাবিল
  • হোটেল নাইট বিলাস
  • হোটেল ফিন টাওয়ার
  • হোটেল প্রিন্স

(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।)

রেস্টুরেন্টসমূহ

(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।)


ভাটপাড়া নীলকুঠি ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
 
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
 
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।

যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইলadmin@biratbazar.com

Leave a Reply