fbpx
সরলীকরণের জটিলতা

সরলীকরণের জটিলতা


সরলীকরণ: পাটিগণিত বা বীজগণিতের রাশিমালাকে সরল রূপে প্রকাশ করে তার মান নির্ণয়কে সরলীকরণ বলে। এ অঙ্কগুলো খুবই সহজ। শুধু মাথা ঠান্ডা রেখে সামান্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করে এ ধরনের অঙ্ক সমাধান করা যায়।

নিয়মগুলো নিম্নরূপ:

১। প্রথমে বন্ধনীর কাজ করতে হয়। রেখা বন্ধনী (১২৩), প্রথম বন্ধনী (), দ্বিতীয় বন্ধনী {} ও তৃতীয় বন্ধনীর [ ] কাজ পর্যায়ক্রমিকভাবে করতে হবে।

২। বন্ধনীর পর ‘এর’ এর কাজ করতে হয়। কোনো অঙ্কের পরপরই যদি বন্ধনী থাকে এবং সেক্ষেত্রে বন্ধনী তুলে দেওয়ার সময় সেখানে অবশ্যাই ‘এর’ বসবে।

যেমন:

সরলীকরনের ২ এর উদাহরণ

৩। ‘এর’ এর পর যথাক্রমে ভাগ, গুণ, যোগ, বিয়োগের কাজ করতে হয়।

৪। ভাগের স্থলে গুণ চিহ্ন ব্যবহার করলে পরবর্তী সংখ্যাটি উল্টে যায়।

৫। ভাগ ও গুণ চিহ্ন পাশাপাশি থাকলে বামদিক হতে শুরু করে যেটা আগে আসবে সেটার কাজ আগে করতে হয়। যেমনঃ

সরলীকরনের ৫ এর উদাহরণ


অবশ্যই মনে রাখবেন সরলীকরণে নিম্নোক্ত ক্রম অনুস্বরণ করা হয়-

() → {} → [] → এর/of → ÷ → × → + → −
মনে রাখার সহজ উপায়: BADMASH

B = Bracket (ব্রাকেট)
O = Of (এর)
D = Division (ভাগ)
M = Multiplication (গুণ)
A = Addition (যোগ)
S = Subtraction (বিয়োগ)

 

৬. অনুরূপভাবে যোগ ও বিয়োগ পাশাপাশি থাকলে বাম হতে যেটা আগে আসবে সেটার কাজ করতে হয়।


উদাহরণ:-

১। সরলীকরণের জটিলতা উদাহরণ ১
২। (১৯ × ১০) − (২৩৫ + ৩৩৫) + (৩৪২ + ১২৮) = কত ?

  (১৯ × ১০) − (২৩৫ + ৩৩৫) + (৩৪২ + ১২৮)
= ১৯০ − ৫৭০ + ৪৭০
= ৬৬০ − ৫৭০
= ৯০ (উত্তর)
৩। সরলীকরণের জটিলতা উদাহরণ ৩

Leave a Reply