বারোবাজার,যা ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল বলে পরিচিত। এটি প্রায় ১০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
জানা যায়, প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন এই নগরীতে অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৯৩ সালে বারোবাজার রেললাইন সংলগ্ন প্রায় ৩ বর্গকিলোমিটার জায়গা খনন করে ১৫ টি বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সন্ধান পায়। পড়ে এই এলাকার নাম দেয় ‘শহর মোহাম্মদাবাদ’।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- মসজিদ
- করবস্থান
- বন্দর
- সমাধিক্ষেত্র
- ভবন
- দীঘি
- সাংস্কৃতিক বস্তু
বারোবাজার যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বাগেরহাট আসতে হবে।
বাগেরহাট যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- হানিফ
- ঈগল পরিবহন
- সোহাগ
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বাগেরহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
বাগেরহাট থেকে বারোবাজার
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে বারোবাজার যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বাগেরহাটে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বাগেরহাটের রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- ডাক বাংলো
- হোটেল মোহনা
- সুন্দরবন রিসোর্ট
- মমতাজ হোটেল
- হোটেল আল আমিন
- হোটেল অভি
- জারিফ আবাসিক
- রেসিডেন্সিয়াল হোটেল
- ষাট গম্বুজ প্রত্নতত্ত্ব গেস্ট হাউজ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বাগেরহাটের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বারোবাজার ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।