জোড় বাংলা মসজিদ,যা ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “জোড় ঢিবি মসজিদ” নামে পরিচিত। মুলত তৎকালীন সময়ে এক জোড়া কুঁড়ে ঘর ও জোড়া দীঘির কারণে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, হিজরি ৮০০ সনে লাউদ্দিন হুসাইন শাহের পুত্র শাহ সুলতান মাহমুদ জোড় বাংলা মসজিদ নির্মাণ করেন।
বর্তমানে মসজিদটি বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্তাবধানে রয়েছে।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- খিলান সংযুক্ত প্রবেশ পথ
- বুরুজ
- মেহরাব
- কয়েকটি কবর
- দিঘী
জোড় বাংলা মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ঝিনাইদহ আসতে হবে।
ঝিনাইদহ যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- হানিফ
- ঈগল পরিবহন
- সোহাগ
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বারোবাজার রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
ঝিনাইদহ থেকে জোড় বাংলা মসজিদ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে জোড় বাংলা মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য ঝিনাইদহ সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
ঝিনাইদহর রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- ডাক বাংলো
- হোটেল রাতুল
- হোটেল রেডিয়েশন
- হোটেল ড্রিম ইং
- খনিকা রেষ্ট হাউজ
- হোটেল জামান
- হোটেল নয়ন
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
ঝিনাইদহর হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
জোড় বাংলা মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।