যশোরেশ্বরী কালী মন্দির,যা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত। যশোরেশ্বরী অর্থ “যশোরের দেবী”। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান।
জানা যায়, এই মন্দির একটি শক্তিপীঠ মন্দির। হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মতে সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগে মহাদেব তার মৃত দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয় নৃত্য আরম্ভ করেন। বিষ্ণু দেব তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর দেহ ছেদনের মাধ্যমে খণ্ডিত করেন। পড়ে দেহের সেই খণ্ডিত টুকরোগুলো ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তার দেহের খণ্ডগুলো যেসকল স্থানে পতিত হয় সেসকল স্থানকে “শক্তিপীঠ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- মঞ্চমণ্ডপ
যশোরেশ্বরী কালী মন্দির যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সাতক্ষীরা আসতে হবে।
সাতক্ষীরা যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- হানিফ
- এসপি গোল্ডেন লাইন
- দেশ ট্র্যাভেলস
- শ্যামলী
- সোহাগ
- গ্রীনলাইন
- সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস
সাতক্ষীরা থেকে যশোরেশ্বরী কালী মন্দির
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে যশোর রোড যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য সাতক্ষীরায় সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
সাতক্ষীরার রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল উত্তরা
- মোজাফ্ফর গার্ডেন
- হোটেল মোহনা
- হোটেল সংগ্রাম
- হোটেল সীমান্ত
- হোটেল সম্রাট
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
সাতক্ষীরার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
যশোরেশ্বরী কালী মন্দির ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।