কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত,যা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে অবস্থিত। এছাড়াও সকলের কাছে “কুয়াকাটা সাগরকন্যা” নামে পরিচিত।
জানা যায়, ১৮ কি.মি দীর্ঘ এই সৈকতে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত একইসাথে দেখা যায়।
এখানে রয়েছে-
- প্রাকৃতিক দৃশ্য
- বেলাভূমি
- সমুদ্র সৈকত
- ম্যানগ্রোভ বন
- বিভিন্ন ধরনের গাছপালা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কুয়াকাটা আসতে হবে।
কুয়াকাটা যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- টি আর ট্রাভেলস
- বিআরটিসি
- হানিফ
- সাকুরা
- শ্যামলী
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে যাওয়াই সুবিধাজনক।
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এডভেঞ্চার
- সুরভী
- মানামি
- গ্রীন লাইন
- সুন্দরবন
- কীর্তনখোলা
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বরিশাল যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
উল্লেখ্য, বরিশাল থেকে আপনাকে কুয়াকাটা যেতে হবে।
পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
পটুয়াখালী শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য পটুয়াখালী সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
পটুয়াখালী রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল পানামা ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল রিয়াজ
- কালিকাপুর আবাসিক হোটেল
- পায়রা হোটেল
- হোটেল হিলটন
- হোটেল সাফারি
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
পটুয়াখালী হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।