ভাসমান পেয়ারা বাগান, যা ঝালকাঠি, বরিশাল এবং পিরোজপুরের সিমান্তবর্তী ভিমরুলি এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে। এটি এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান। মুলত খালের তিন দিকের মোহনাজুড়ে এই বাজার বসে।
জানা যায়, জুলাই এবং আগস্ট মাস পেয়ারা চাষের মৌসুম হলেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজার চলে।
এখানে রয়েছে-
- খালের সাথে লাগোয়া ঘরবাড়ি
- স্কুল
- ব্রিজ
- নৌকা ভ্রমণ
- কুড়িয়ানা বাজারের রসগোল্লা এবং বৌদির হোটেলের সুস্বাদু দুপুরের খাবার
উল্লেখ্য, আগস্ট মাস এবং ভোর থেকে সকাল ১১.০০ টা পর্যন্ত বাজার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। এছাড়াও বর্ষায় চারপাশের দৃশ্য দেখতে আরও সুন্দর লাগে।
ভাসমান পেয়ারা বাগান যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ঝালকাঠি আসতে হবে।
পিরোজপুর যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- ঈগল
- বিআরটিসি
- সুগন্ধা
- হানিফ
- উত্তরণ
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এমভি ফারহান-৭
- সুন্দরবন-২
- টি এস লেপচা
- টি এস মাসুদ
ঝালকাঠি থেকে ভাসমান পেয়ারা বাগান
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে ভাসমান পেয়ারা বাগান যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য ঝালকাঠিতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
ঝালকাঠির রিসোর্টসমূহ–
- জেলা পরিষদের ডাক বাংলো
- ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউজ
- ডালিয়ান হোটেল
- হালিমা বোর্ডিং
- আরাফাত বোর্ডিং
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
ঝালকাঠির হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
ভাসমান পেয়ারা বাগান ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।