বিবি চিনি শাহী মসজিদ, যা বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি টিলার উপর নির্মিত। মসজিদটি মোঘল আমলে সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে তৈরি করা হয়।
জানা যায়, হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ (রঃ) ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে সুদূর পারস্য থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে আসেন এবং মসজিদটি নির্মাণ করেন। উনার কন্যা চিনিবিবি এবং ইসাবিবির নামানুসারে গ্রাম এবং মসজিদের নামকরণ করা হয়। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ্ (র:) পরলোকগমন করেন।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- গম্বুজ
- হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ (রঃ) এর মাজার
বিবি চিনি শাহী মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বরগুনায় আসতে হবে।
বরগুনায় যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- সুরভী
- বিআরটিসি
- হানিফ
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে পাথরঘাটা পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এডভেঞ্চার
- সুরভী
- মানামি
- গ্রীন লাইন
- সুন্দরবন
- কীর্তনখোলা
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বরিশাল যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
বরিশালে নেমে সেখান থেকে বিবি চিনি শাহী মসজিদ যেতে হবে।
বরগুনা থেকে বিবি চিনি শাহী মসজিদ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে বিবি চিনি শাহী মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বরগুনায় সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বরগুনার রিসোর্টসমূহ–
- গ্রান্ড খান গেস্ট হাউজ
- হোটেল গ্রীন ভিউ
- হোটেল মুক্তিযোদ্ধা সুলতান
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বগুনার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বিবি চিনি শাহী মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।