বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, যা ভোলা জেলার আলীনগর ইউনিয়নে অবস্থিত। তার স্মরণে এটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জানা যায়, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েকে মোস্তফা কামাল ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী একজন সাহসী যোদ্ধা। ২০ বছর বয়সে তিনি পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন।তিনি যুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। সমক্ষ যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন। বাংলাদেশের ৭জন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে তিনি একজন।
এখানে রয়েছে-
- গ্রন্থাগার
- ব্যবহৃত সামগ্রী
- বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন
- বৈচিত্র্যময় এবং বিখ্যাত বই
উল্ল্যেখ্য, জাদুঘর সরকারী ছুটির দিন ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকাল ৪.০০ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ভোলা আসতে হবে।
ভোলা যাওয়ার সবথেকে সহজ ও নিরাপদ উপায় হল নৌপথ।
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলা পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এম.ভি ভোলা
- এম.ভি কর্ণফুলী
- এম.ভি সম্পদ
- এম.ভি ফারহান
ভোলা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর
ভোলা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য ভোলা সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
ভোলার রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল মারুফ ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল গ্রীন প্যালেস
- হোটেল জেড ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল সেবা আবাসিক
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
ভোলার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।