মমিন মসজিদ, যা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার উত্তরে বুড়িরচর গ্রামের আকন বাড়িতে অবস্থিত। এটি মুলত কাঠ দ্বারা তৈরি টিন শেড বিশিষ্ট চৌচালা মসজিদ। এটি বিশ্বের ২৩ তম ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্য এই মসজিদ।
জানা যায়, মৌলভী মমিন উদ্দিন আকন ১৯১৩ সালে বরিশাল জেলার স্বরূপকাঠির ২১ জন কারিগরের সাহায্যে নিজ বাড়িতেই মসজিদের নির্মাণ করেন। যেখানে ব্যবহৃত হয় লোহাকাঠ ও বার্মা সেগুন কাঠ। ১৯২০ সালে ইন্দো-পারসিক এবং ইউরোপীয় স্থাপত্যের মিশ্রণে মমিন মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, তৎকালীন সময়ে মসজিদটি নির্মাণে কোন লোহা কিংবা তারকাটা ব্যবহার করা হয়নি।
তবে মসজিদটি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীন হওয়ার পর সংস্কার কাজে মসজিদের মূল ডিজাইনে খানিকটা পরিবর্তন আনা হয়।
এখানে রয়েছে-
- প্রবেশদ্বারে চার খলিফার এবং মাঝখানে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর নাম
- বেড়ার ৩টি অংশ
- বিভিন্ন আকর্ষণীয় নকশা
- জ্যামিতিক নকশা ও আরবি ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার
- মেহরাব
- বিভিন্ন ধরনের গাছপালা
মমিন মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে পিরোজপুর আসতে হবে।
পিরোজপুর যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- ঈগল
- বনফুল
- হানিফ
- দোলা
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- রাজদুত
- পারাবত
- হিমাচল
- আচল
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বরিশাল যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
বরিশাল বাস স্ট্যান্ড থেকেও আপনি সরাসরি মসজিদে যেতে পারবেন ।
পিরোজপুর থেকে মমিন মসজিদ
পিরোজপুর শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে মমিন মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য পিরোজপুরে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
পিরোজপুর রিসোর্টসমূহ–
- জেলা পরিষদের ডাক বাংলো
- হোটেল ছায়ানীড়
- হোটেল কুটুম বাড়ি
- হোটেল রিল্যাক্স
- পদ্মা হোটেল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
পিরোজপুর হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
মমিন মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।