কুসুম্বা মসজিদ, যা নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলাধীন ৮ নং কুশুম্বা ইউনিয়নের কুশুম্বা গ্রামে অবস্থিত। এটি প্রায় ৪০০ বছর পুরাতন একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এই মসজিদের ছবি বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে মুদ্রিত আছে।
জানা যায়,১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দে আফগানী শুর বংশের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এখানে রয়েছে-
- ৪ টি মিনার
- ৩ টি দরজা
- পাথরের খোদাইকৃত মিহরাব
- নকশাকৃত দেয়াল
- বিশাল দিঘী
মসজিদে যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নওগাঁ আসতে হবে।
নওগাঁ যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- শ্যামলী
- হানিফ
- মৌ এন্টারপ্রাইজ
- এস আর
উল্ল্যেখ্য, ট্রেন এবং বিমানে গেলে আপনাকে রাজশাহী হয়ে নওগাঁ যেতে হবে।
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
নওগাঁ থেকে কুসুম্বা মসজিদ
শহর থেকে কুসুম্বা মসজিদ দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি। নওগাঁ শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে কুসুম্বা মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
নওগাঁর রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল যমুনা
- মল্লিকা ইন
- হোটেল প্লাবন
- হোটেল রাজ
- হোটেল ফরিয়াল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
নওগাঁর হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
কুসুম্বা মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- ধর্মীয় জ্ঞানার্জন
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- মসজিদের ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।