খনিয়াদিঘি মসজিদ, যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে এটি চামচিকা মসজিদ এবং রাজবিবি মসজিদ নামেও সুপরিচিত।
জানা যায়, প্রায় ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে গৌড় রাজধানী থাকাকালীন সময়ে খনিয়াদীঘি মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬২ ফুট এবং প্রস্থ ৪২ ফুট। এছাড়াও টেরাকোটা ও ইটের নকশায় অলংকৃত মসজিদের পিলার ও কার্নিশে পাথরের ব্যবহার হয়েছে।
এখানে রয়েছে-
- দিঘি
- ছোট/বড় গম্বুজ
খনিয়াদিঘি মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- গ্রীন লাইন
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- একতা
- দেশ ট্রাভেল
উল্ল্যেখ্য, ট্রেন এবং বিমানে গেলে আপনাকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে হবে।
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খনিয়াদিঘি মসজিদ
শহর থেকে তোহাখানা দূরত্ব প্রায় ৩৬ কি.মি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে খনিয়াদিঘি মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল স্বপ্নপুরী
- হোটেল আল নাহিদ
- হোটেল স্কাই ভিউ
- হোটেল রাজ
- হোটেল নাজমা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
চাপাইনবাবগঞ্জের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
খনিয়াদিঘি মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- ইসলামিক জ্ঞানার্জন
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- মসজিদের ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।