বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি, যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গনে অবস্থিত। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পার্বত্য সীমান্ত রক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে শিয়ালকোট সীমান্ত থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকার ৭নং সেক্টরে যুদ্ধ করছিলেন।
জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল, মুক্তিবাহিনী তাঁর নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আক্রমন করে। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের সকালে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মহানন্দা নদী অতিক্রম করে শত্রুসৈন্যদের ঘাটি ধ্বংস করার উদ্দ্যেশে অগ্রসর হতে থাকেন। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত আক্রমনে একের পর এক শত্রু ঘাটি ধ্বংস হতে থাকে। এই সময় পাকিস্থানি বাহিনীর একটি স্নাইপার বুলেট এসে তাঁর দেহে আঘাত হানলে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি শহীদ হন। তাঁর সহযোদ্ধারা উদ্ধার করে ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ প্রাঙ্গনে তাঁকে সম্মানের সহিত সমাহিত করেন।
তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এখানে রয়েছে-
- ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ
- বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা
সমাধিস্থল যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- গ্রীন লাইন
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- একতা
- দেশ ট্রাভেল
উল্ল্যেখ্য, ট্রেন এবং বিমানে গেলে আপনাকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে হবে।
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সমাধিস্থল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে সমাধিস্থল যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল স্বপ্নপুরী
- হোটেল আল নাহিদ
- হোটেল স্কাই ভিউ
- হোটেল রাজ
- হোটেল নাজমা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
চাপাইনবাবগঞ্জের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
সমাধিস্থল ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞানার্জন
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- সমাধিস্থলের ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।