বলিহার রাজবাড়ি, যা নওগাঁ জেলার বলিহার ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক জায়গির লাভের মাধ্যমে বলিহার জমিদার এই রাজবাড়ি তৈরী করেন। সেকালে মন্দির ভবনে অবস্থিত প্রতিটি কক্ষকে এক একটি মন্দির বলে ধারণা করা হয়। তবে, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজবাড়ীর বিভিন্ন নিদর্শন, আসবাপত্র সহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায়।
এখানে রয়েছে-
- বিশালাকার তোরণ
- নাটমন্দির
- রাজ রাজেশ্বরী মন্দির
- জোড়া শিব মন্দির
- ২টি শিবলিঙ্গ
- রাজেশ্বরী দেবীর অপরূপা পিতলের মূর্তি
- কয়েকটি দিঘী
উল্যেখ্য, বর্তমানে এটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকলেও রাজবাড়ীর ভিতরের দেবালয়ে নিয়মিত পূজা অর্চনা হয়ে থাকে।
বলিহার রাজবাড়ি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নওগাঁ আসতে হবে।
নওগাঁ যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- শ্যামলী
- হানিফ
- মৌ এন্টারপ্রাইজ
- এস আর
উল্ল্যেখ্য, ট্রেন এবং বিমানে গেলে আপনাকে রাজশাহী হয়ে নওগাঁ যেতে হবে।
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
নওগাঁ থেকে বলিহার রাজবাড়ি
শহর থেকে বলিহার রাজবাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৪ কি.মি। নওগাঁ শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে বলিহার রাজবাড়ি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
নওগাঁর রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল যমুনা
- মল্লিকা ইন
- হোটেল প্লাবন
- হোটেল রাজ
- হোটেল ফরিয়াল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
নওগাঁর হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বলিহার রাজবাড়ি ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- ধর্মীয় জ্ঞানার্জন
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- মন্দিরের ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।