কাপ্তাই লেক, যা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত। এটি প্রায় ১১,০০০ বর্গ কি.মি পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আয়তনে সর্ববৃহৎ।
জানা যায়, ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমেরিকার অর্থায়নে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করে। এর ফলে রাঙামাটি জেলার প্রায় ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি প্লাবিত হয়ে এই লেকের সৃষ্টি হয়।
এখানে রয়েছে-
- ছোট বড় পাহাড়
- ঝর্ণা
- বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্ভার
- চারপাশের সবুজ পরিবেশ
- নানাবিধ পাখি
উল্ল্যেখ্য, লেক ঘুরে দেখার পাশাপাশি ঝুলন্ত ব্রিজ, শুভলং ঝর্ণা, সহ আরও অনেকটি স্পট ঘুরে দেখতে পারবেন। এছাড়াও কর্ণফুলি নদীতে কায়াকিং করারও ব্যবস্থা আছে।
কাপ্তাই লেক যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে রাঙ্গামাটি/কাপ্তাইআসতে হবে।
রাঙ্গামাটি/কাপ্তাই যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
- উত্তরা
- মহাখালী
- ফকিরাপুল
বাসসমূহ–
- হানিফ
- শ্যামলী
- এস আলম
- ঈগল
উল্লেখ্য,ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি রেল কিংবা আকাশপথে যাওয়া যায় না।
রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই লেক
রাঙ্গামাটি বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা/জীপ/প্রাইভেট গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে কাপ্তাই লেক যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য রাঙ্গামাটিতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
রাঙ্গামাটির রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন মোটেল
- রংধনু গেস্ট হাউজ
- হোটেল সুফিয়া
- হোটেল গ্রিন ক্যাসেল
- হোটেল আল-মোবা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
রাঙ্গামাটির হোটেলসমূহ-
বাস স্ট্যান্ড কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
কাপ্তাই লেক ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- ট্র্যাকিং এর যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া সুবিধাজনক
- আদিবাসীদের সাথে ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।