হাজাছড়া ঝর্ণা
যা পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় অবস্থিত। এটিকে স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে “চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা” নামেও পরিচিত।
এখানে রয়েছে-
- রাস্তার দু’পাশে আদিবাসীদের বসবাস
- জুম ক্ষেত
- মাইনী নদীর জলধারা
- ঝিরিপথ
- সবুজে ঘেরা পরিবেশ
উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুম ঝর্ণা দেখার উপযুক্ত সময়। আর যদি সাজেক ভ্যালী যান, তাহলে ফেরার পথে হাজাছড়া ঝর্ণা দর্শন অধিকতর লাভজনক।
হাজাছড়া ঝর্ণা দেখতে হলে প্রথমে আপনাকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে।
খাগড়াছড়ি যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
- উত্তরা
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- শান্তি
- হানিফ
- শ্যামলী
- রিলেক্স
- ঈগল
উল্লেখ্য,ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িতে রেল কিংবা আকাশপথে যাওয়া যায় না।
খাগড়াছড়ি থেকে হাজাছড়া ঝর্ণা
খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে দিঘীনালা, সেখান থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে হাজাছড়া ঝর্ণা যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি আপনাদের জন্য সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক।
খাগড়াছড়ির রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন মোটেল
- অরণ্য বিলাস
- হোটেল নূর
- হোটেল ইকো ছড়ি ইন
- শৈল সুবর্ন
- হোটেল মাউন্ট ইন
- গাংচিল আবাসিক
- হোটেল হিল টাচ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
খাগড়াছড়িতে আবাসিক হোটেলসমূহ-
- ফুডাং থাং
- হিল ফ্লেভারস
- এফএনএফ রেস্টুরেন্ট
- ব্যাম্বু শুট
- সিস্টেম রেস্তোরাঁ
- গাং সাবারং
- চাওমিন রেস্টুরেন্ট
উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
হাজাছড়া ঝর্ণা ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা।
- পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি।
- দক্ষ গাইড।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- সাঁতার না জানা থাকলে পানিতে ঝাঁপ দেবেন না।
- পুরো অঞ্চল ভালোভাবে ঘুরার জন্য স্থানীয় গাইড নিতে পারবেন।
- ট্র্যাকিং এর যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া ভালো।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।