জাফলং
সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে মারি নদীর পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং অবস্থিত। জাফলং পাহাড় ও নদীর পাশাপাশি পাথরের জন্য বিখ্যাত। বহু বছর যাবত শ্রমজীবী মানুষেরা পাথরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভারতের ডাউকি অঞ্চলের পাহাড় ও ডাউকি নদী জাফলং দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মূলত পিয়াইন নদীর অববাহিকায় জাফলং অবস্থিত। পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির ধারা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু উঁচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বসতি ও সাদা মেঘের খেলা জাফলংকে অনন্য করেছে। জাফলংকে প্রকৃতি কন্যা বলা হয়। জাফলং অঞ্চলের উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে খাটো জাতের পাম গাছ দেখা যায়। এছাড়াও নারিকেল ও সুপারি গাছকে কেন্দ্র করে বাস করে অসংখ্য বাদুড়। জাফলং থেকেই ভারতের বিখ্যাত শৈল শহরের শিলং চেরাপুঞ্জির প্রবেশদ্বার ডাউকি শহর দেখা যায়।
জাফলং নামকরণের ইতিহাস
খাসিদের মালনিয়াং রাজ্য থাকাকালে এর রাজধানীগুলোর একটি ছিলো বল্লাপুঞ্জি। এই মালনিয়াং রাজ্যে একটি “আনন্দের হাট” ছিলো। তাদের স্থানীয় ভাষায় “আনন্দের হাট” কে “জাফলং” নামে ডাকা হত। বল্লাপুঞ্জি এই জাফলং এরই একটি এলাকা।
জাফলং এর ইতিহাস
ঐতিহাসিকদের বর্ণনা মতে হাজার হাজার বছর ধরে জাফলং ছিলো এক নির্জন বনভূমি। খাসিয়ার জৈন্তা রাজারা সেখানে রাজত্ব করতো। ১৯৫৪ সালে জমিদারী প্রথার বিলুপ্তি ঘটলে তাদের এ রাজ্যের অবসান ঘটে। তারপর কয়েক বছর এ জায়গাটি বিরান পড়েছিল। পরবর্তীতে নদীপথে পাথর ব্যবসায়ীরা জাফলং আসতে শুরু করলে ধীরে ধীরে নতুন জনবসতি গড়ে ওঠে। আশির দশকের দিকে সিলেটের সঙ্গে জাফলং এর ৫৫ কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হলে পর্যটন সমাগম শুরু হয়।
ভূতের পাথর গুহার রহস্য |
জাফলং থেকে ডাউকি ব্রিজের দিকে তাকালে স্পষ্টভাবে চোখে পরে ভূতের পাথর। ভূতের পাথর দেখলে যেন মনে হবে পাথরটি কোনো রাক্ষসের কঙ্কাল এবং পাথরটি যেন অঝরে কেঁদেই চলেছে। এই ভূতের পাথরকে ঘিরে রয়েছে নানা জল্পনা কল্পকাহিনী। প্রচলিত আছে যে, “এখানে একজন পীর ধ্যান করতেন। হঠাৎ একদিন আশেপাশের গ্রামবাসী তাঁর কাছে আশ্রয় চাইতে আসে এবং তাদের সমস্যার কথা চুলে ধরে। তাদের বক্তব্য ছিলো এখানে এক রাক্ষসের খুব অত্যাচার। রাক্ষস এসে গ্রামবাসীদের ধরে খেয়ে ফেলে। পীর গ্রামবাসীর কথা শুনে তাদের সেই গুহায় থাকতে বলে যেখানে পীর ধ্যান করতেন। এদিকে রাক্ষস পুরো গ্রাম খুঁজে কোনো মানুষ না পেলে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাক্ষস গুহার কাছে এলে মানুষের গন্ধ ও শব্দ পায়। রাক্ষস গুহার কাছে এলে পীর তাকে বাধা দেয়। এতে রাক্ষস ক্ষিপ্ত হয়ে পীরের সামনেই সকল গ্রামবাসীকে খেয়ে ফেলার হুমকি দেয় এবং পীরকে খেয়ে শুরু করতে চায়। এতে পীর নারাজ হয়ে রাক্ষসকে হুঁশিয়ারি দিলেও রাক্ষস তা হেসে উড়িয়ে দেয় এবং পীরকে খেতে যায়। ঠিক তখনই পীর তাঁর অলৌকিক শক্তি দিয়ে এক থাবায় রাক্ষসকে মেরে তাকে পাথরে রুপান্তর করে ফেলেন।” এটি কেবল কল্পকাহিনী হয়তো নয়। কেননা, ভূতের পাথরের পাশেই আছে সেই পীরের কবর। এই ভূতের পাথর ও গুহা ভারতের মেঘালয়ার ডাউকিতে হওয়ায় এখানে যেতে হলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। |
কখন যাবেন |
একেক ঋতুতে জাফলং একেক রকম রূপের প্রকাশ ঘটায়, যা পর্যটকদের সারাবছরই আকর্ষিত করে টেনে আনে জাফলং এ। তবে শীতে নদীতে পানি কম থাকে বলে হেঁটেই পার হওয়া যায়। আবার বর্ষাকালে নদীতে অনেক স্রোত থাকে। তখন চারপাশে ছড়ানো পাথর, সবুজ পাহাড় ও মায়াবী ঝর্ণার দেখা মেলে। তাই বর্ষা ও তাঁর পরবর্তী সময় অর্থাৎ জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জাফলং ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। |
বিশেষ পরামর্শ |
নোংরা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকবেন। প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করবেন না। নিজ মালামাল, মোবাইল, ক্যামেরা নিজ দ্বায়িত্বে রাখবেন। যেকোনো প্রয়োজনে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিবেন। স্থানীয়দের সাথে তর্কে জড়াবেন না। ট্রিপে খরচ কমাতে গ্রুপ করে যাবেন। কেনাকাটা করতে চাইলে দরদাম করে ভালোভাবে যাচাই বাচাই করে নিবেন। পণ্য কেনার সময় নকল অথবা ভেজাল আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে কিনবেন। বেশিরভাগ পণ্যই নকল। ছুটির দিন সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। |
বিশেষ সতর্কতা |
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সীমান্ত এলাকার নির্দেশনা মেনে চলবেন। ভারত ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমারেখা লঙ্ঘন করে পাথরের দেয়া রেখা অতিক্রম করলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কোনোরকম দায়িত্ব নিবেনা। ভারতে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই সঙ্গে পাসপোর্ট এবং অনুমতি নিয়েই যেতে হবে। কোনো ক্রমেই ভারতের ভিতর পাসপোর্ট ছাড়া ঘুরবেন না। পাথর উত্তোলনের কারণে পানির ভিতর অনেক জায়গা গভীর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্রোতের কারণে জায়গাগুলো ঢেকে যাওয়ায় গভীরতা মাঝেমধ্যেই বুঝা যায়না। সে জন্যই পানিতে নামার সময় সতর্ক থাকবেন এবং সাতার জানলেও লাইফ জ্যাকেট পরবেন। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে জাফলং এর দূরত্ব |
|
ঢাকা | ২৯৫ কি.মি. (সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
রাজশাহী | ৫০৮ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
রংপুর | ৫৫৭ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
সিলেট | ৬২ কি.মি. |
ময়মনসিংহ | ২১৭ কি.মি. (সুনামগঞ্জ হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
খুলনা | ৪৩৩ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
বরিশাল | ৪০৬ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
চট্টগ্রাম | ৪৪৪ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
সিলেট ব্যতীত সারাদেশ থেকে সরাসরি জাফলং যাওয়ার কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় আপনাকে আগে সিলেট যেতে হবে। |
|
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-
(গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়।) |
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
|
ট্রেন |
ট্রেন সমূহ:
(ট্রেনে গেলে উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াই বেশি সুবিধাজনক। ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন হয়। তাই আগে একটু খোঁজ নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।) |
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রাজশাহী থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো] |
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রংপুর থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[রংপুরে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় সৈয়দপুর থেকে আপনাকে সিলেট যেতে হবে।] বিমানসমূহ:
|
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[ময়মনসিংহ থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
খুলনা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো বাস নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।] বাস স্টান্ডসমূহ:-
ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাসসমূহ:-
|
সিলেট থেকে জাফলং সিলেট কদমতলী থেকে জাফলংগামী লোকাল ও গেটলক বিরতীহীন বাস পাওয়া যায়। এছাড়াও শহরের সোবহানীঘাট থেকেও বাস পাওয়া যায়। বাস ছাড়াও সরাসরি লেগুনা সার্ভিস রয়েছে। বন্দরবাজার শিশু পার্কের সামনে মাইক্রবাস, সিএনজি কন্টাক অথবা রিজার্ভ যেতে পারবেন। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
[সাধারণত জাফলং ভ্রমণকারী পর্যটকরা রাত্রিযাপনের জন্য সিলেট শহরেই ফিরে যায়। কিন্তু যদি জাফলং এলাকায় থাকতে চান তাহলে জাফলং জিরো পয়েন্টের কাছে গ্রিন রিসোর্ট অথবা মামার বাজার এলাকায় জাফলং ইনন হোটেল ও হোটেল প্যারিস সহ আরো কিছু রেস্ট হাউস রয়েছে। তবে সরকারী রেস্ট হাউজে থাকতে চাইলে পূর্ব অনুমতি নিতে হবে।] |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
সিলেটের আবাসিক হোটেলসমূহ:
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
জিন্দা বাজারে খাবার হোটেল:
জাফলং রোড, মিরাবাজারে খাবার হোটেল:
অন্যান্য খাবার হোটেলসমূহ:
(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।) |
সিলেট ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com
সিলেটের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
|
১। হযরত শাহজালাল দরগাহ |