Categories: Travel Guide

হযরত শাহজালাল দরগাহ

হযরত শাহজালাল দরগাহ


শাহ জালালের দরগাহ, সিলেট শহরের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা, যা মূলত ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে আগত পাশ্চাত্যের ইসলাম ধর্মপ্রচারক শাহ জালালের বাসস্থান ও শেষ সমাধি। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৮ কি.মি. পূর্ব দিকে তামাবিল সড়ক থেকে ৩ কি.মি. ভিতরে সুউচ্চ ও মনোরম ট্টিলায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হযরত শাহজালাল (র.)। তিনি পাক-ভারত উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। তাকে ওলিকুল শিরোমণি নামেও ডাকা হয়। কারো কারো মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালের লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পূণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত। শাহ জালালের সিলেট বিজয়ের পর অর্থাৎ সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) এর ওপর রাজা গৌড়-গোবিন্দের অত্যাচারের প্রেক্ষিতে হযরত শাহ জালাল (র.) ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার আগমনের কারণেই সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। এ কারণেও কেউ কেউ সিলেটকে পূণ্যভূমি অভিধায় অভিহিত করেন। ঐতিহাসিক অচ্যুৎচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধির মতে এই দরগাহ থেকে প্রেরিত শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারীদের দ্বারা ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা, কুমিল্লা ও আসাম প্রভৃতি স্থানে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাৎসরিক উরস (স্থানীয় উচ্চারণ: উরুস) উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক এখানে এসে শাহ জালালের উপলক্ষ ধরে (অসিলা) স্রষ্টার কাছে ভক্তি নিবেদন ও কৃতজ্ঞতা জানান।

দরগাহর লৌকিক অলৌকিক ও আকর্ষণীয় বিষয়সমূহ

১। আরবের মাটি ও সিলেটের মাটির মিল

কথিত আছে, প্রাচ্যদেশে আসার পূর্বে শাহজালাল (র.) এর মামা মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবীর (র.) তাঁকে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেছিলেন, ‘স্বাদে বর্ণে গন্ধে এই মাটির মতো মাটি যেখানে পাবে সেখানে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচার করবে।’হযরত শাহজালাল (র.) বিশিষ্ট শিষ্য শেখ আলীকে এই মাটির দায়িত্বে নিয়োগ করেন এবং নির্দেশ দেন যে, যাত্রাপথে বিভিন্ন জনপদের মাটির সাথে যেন এই জনপদের মাটির তুলনা করে তিনি দেখেন। পরে এই শিষ্যের উপাধি হয় চাষণী পীর। সিলেট শহরের গোয়াইপাড়ায় তাঁর মাজার বিদ্যমান।সিলেটের মাটির সাথে আরবের মাটির মিল পাওয়ায় হযরত শাহজালাল (র.) সিলেটে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। সিলেটে তেল ও গ্যাস পাওয়ায় আরবের মাটি ও সিলেটের মাটির মিল প্রমাণিত হয়েছে।

২। গজার মাছ

হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার চত্বরের উত্তর দিকে একটি পুকুর রয়েছে। এ পুকুরে রয়েছে অসংখ্য গজার মাছ। এসব মাছকে পবিত্র জ্ঞান করে দর্শনার্থীরা ছোট ছোট মাছ খেতে দেয়। পুকুরের পশ্চিম কোণে ছোট মাছ বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। পুকুরে অজুর ব্যবস্থাও আছে। ২০০৩ সালের ৪ ডিসেম্বর বিষ প্রয়োগে পুকুরের প্রায় ৭শ’রও বেশি গজার মাছ হত্যা করা হয়। ফলে পুকুরটি গজার মাছ শূন্য হয়ে পড়ে। মরে যাওয়া মাছগুলোকে মসজিদের পশ্চিম দিকের গোরস্থানে পুঁতে ফেলা হয়। পুকুরটি মাছ শূন্য হয়ে যাওয়ার পর হযরত শাহজালাল (র.) এর অপর সফরসঙ্গী মৌলভীবাজারের শাহ মোসত্মফার (র.) মাজার থেকে ২০০৪ সালের ১১ জানুয়ারি ২৪ টি গজার মাছ এনে পুকুরে ছাড়া হয়। বর্তমানে পুকুরের গজার মাছের সংখ্যা কয়েক শ’তে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যায়।

৩। জালালী কবুতর ও নিজাম উদ্দিন আউলিয়া

হযরত শাহজালাল (র.) এর আধ্যাত্নিক শক্তির পরিচয় পেয়ে হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (র.) তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন। প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ তিনি তাঁকে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর বা জালালী কবুতর উপহার দেন। সিলেট ও আশপাশের অঞ্চলে বর্তমানে যে সুরমা রঙের কবুতর দেখা যায় তা ওই কপোত যুগলের বংশধর এবং জালালী কবুতর নামে খ্যাত। সিলেটে জাতিধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কেউই এ কবুতর বধ করে না এবং খায় না। বরং অধিবাসীরা এদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে থাকে। শাহজালালের (র.) মাজার এলাকায় প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে কবুতর উড়তে দেখা যায়। মাজার কর্তৃপক্ষ এসব কবুতরের খাবার সরবরাহ করে থাকেন।

৪। রাজস্বমুক্ত কসবে সিলেট

হযরত শাহজালাল (র.) ছিলেন কামনাবাসনামুক্ত নির্লোভ সূফি সাধক। কথিত আছে, দিল্লীর সম্রাট তাঁকে নবাবী প্রদান করে একটি সনদ পাঠান। হযরত শাহজালাল (র.) তা প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, তিনি সংসারবিরাগী ফকির, তাঁর নবাবীর প্রয়োজন নেই। এক পর্যায়ে সম্রাট তাঁকে সিলেটের জায়গীর গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। হযরত শাহজালাল (র.) তাতেও রাজি হননি।শেষে সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি হযরত শাহজালালের (র.) প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে সিলেট শহরকে রাজস্বমুক্ত (কসবে) বলে ঘোষণা দেন। এ কারণে আজো সিলেট শহরের ভূমি রাজস্ব থেকে মুক্ত।

৫। জমজমের কূপ ও ঝরণা

দরগাহ টিলার পশ্চিমে অল্প দুরে হযরত শাহ জালালের অলৌকিক উৎস বা ঝরণা অবস্থিত। ঝরণাকে কেন্দ্র করে দরবেশের নানা অলৌকিক কীর্তি কিংবদন্তি রুপে এখনও প্রচলিত আছে। সিলেটের লোক বিশ্বাস মতে, ঝরণায় প্রবাহিত পানি জমজমের পানির সদৃশ, রোগীরা এই পানি পান করে আরোগ্য লাভ করে। অনেক কাল পূর্বে দরগাহ টিলায় শাহ জালাল এর বাসস্থান ও উপাসনা গৃহের উত্তর পূর্ব দিকে একটি পুকুর ছিল। সিলেটের সর্বসাধারণ হিন্দু ও মুসলিম সকলেই ইহার জল ব্যবহার করত। শাহ জালাল অজু গোসল সম্পর্কিত পানি ব্যবহারে পবিত্রতা বিষয়ে চিন্তিত হয়ে দরগাহ টিলার পশ্চিমে একটি কুপ খনন আদেশ দেন। কুপ তৈরি হওয়ার পর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন আল্লাহ যেন এই কুপটিকে জমজমের পানির সাথে সম্পর্ক যুক্ত করেন। এরপর তিনি নিজ হাতের লাটি দিয়ে কুপের মাটিতে ইসলামী বাক্য (বিছমিল্লাহ) পড়ে আঘাত করলে সাথে সাথে কুপের মধ্যে পানি প্রবাহিত হতে লাগলো এবং সোনা ও রুপার রঙ্গের মাছের জন্ম হল। যা আজও এই কুপের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর উক্ত কুপের চার পাশে দেওয়াল করে কুপের উত্তর পাশে দুটি পাথর বসিয়ে দেয়ার পর পাথরের মধ্য হতে অনবরত পানি বইতে থাকে। পূর্ব কালে যে পানি লোকে বিশ্বাস ও ভক্তি করে পান করতো। আজকাল ঐ ঝরনার পানি বোতলে করে বিক্রি হয়।

৬। ডেকচি

মাজারের পূর্ব দিকে একতলা ঘরের ভেতরে বড় তিনটি ডেকচি রয়েছে। এগুলো ঢাকার মীর মুরাদ দান করেছেন বলে জানা যায়। মীর মুরাদ ঢাকার হোসেনী দালান তৈরী করেন। যদিও ডেকচিগুলোতে রান্নাবান্না হয় না, তবুও কথিত আছে প্রত্যেকটিতে সাতটি গুরুর মাংস ও সাত মণ চাল এক সাথে রান্না করা যায়। পূণ্যের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ডেকচিগুলোতে প্রচুর টাকাপয়সা দান করেন।

৭। চিলস্নাখানা

মাজারের দক্ষিণ দিকে গ্রীলঘেরা তারকাখচিত ছোট্ট যে ঘরটি রয়েছে, এটি হযরত শাহজালালের (র.) চিলস্নাখানা। স্থানটি মাত্র দু’ফুট চওড়া। কথিত আছে যে, হযরত শাহজালাল (র.) এই চিলস্নাখানায় জীবনের ২৩ টি বছর আরাধনায় কাটিয়েছেন।

৮। শাহজালালের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি

হযরত শাহজালাল (র.) কেবল একজন পীর ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বীর মোজাহিদ। তার ব্যবহৃত তলোয়ার, খড়ম, প্লেট এবং বাটি দর্শনার্থীদের দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। দরগার দক্ষিণ দিকে দরগাহ মাদ্রাসা বিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে একটি প্রবেশ পথ রয়েছে। এই পথ দিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর বাঁ দিকের বাড়িটি মুফতি নাজিমুদ্দিন আহমদের। এই বাড়িতে হযরত শাহজালালের (র.) তলোয়ার ও খড়ম সংরক্ষিত আছে। প্লেট ও বাটি সংরক্ষিত আছে দরগাহ’র মোতওয়ালিস্নর বাড়িতে। এগুলো দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষের ভীড় জমে।

৯। দরগাহ মসজিদ

বাংলার সুলতান আবু মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহের মন্ত্রী মজলিশে আতার আমলে ১৪০০ সালে দরগাহ চত্বরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ১৭৪৪ সালে বাহরাম খাঁ ফৌজদারের সময় এটি পুনর্নির্মিত হয়। বর্তমানে এটি সিলেট শহরের অন্যতম একটি মসজিদ।


দরগাহর পরিক্রমা

শাহ জালালের সমাধিকে দরগাহ টিলা বলে অভিহিত করা হয়। টিলার উত্তর প্রান্তে প্রাচীর বেষ্টিত স্থানে শাহ জালালের সমাধি অবস্থিত। চার কোণে চারটি উঁচু স্থম্ভ দ্বারা তা নির্মিত। দরবেশের সমাধির পশ্চিম প্রান্তে প্রাচীর সীমা ঘেঁষে একটি ছোট মসজিদ রয়েছে। যা সিলেটের তদানীন্তন মাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টর উইলস দ্বারা পুনঃনির্মিত হয়। দরবেশের সমাধির পূর্ব পশ্চিমে যথাক্রমে ইয়ামনের যুবরাজ শেখ আলী ও ভারতের গৌড় রাজ্যের উজির মকবুল খানের কবর রয়েছে। শাহ জালালের দরগাহর দক্ষিণ দিকে প্রবেশ পথে বাহির হতে পাশে ছিল্লাখানা ও দরবেশের সহাধ্যায়ী হাজি ইউছুফ, হাজী খলিল ও হাজী দরিয়া নামক এই তিন জন অলির সমাধি বিদ্যমান। তাদের পাশে দরগাহের ভূতপূর্ব মোতওয়াল্লী আবু তুরাবের কবর। এখান থেকে পশ্চিমের প্রবেশ পথে বাহির হতে আরেকটি বেষ্টনীর পাশে দরগাহের আরো দুই জন মোতওয়াল্লী আবু নাসির ও আবু নসর পাশাপাশি অন্তিম শয্যায় শায়িত আছেন। ইহার দক্ষিণে একটি উচুঁ স্থানে গম্বুজ বিশিষ্ট ঘড়ি ঘর নামে এক দালান দেখতে পাওয়া যায়। এই ঘড়ি ঘরের পূর্ব দিকে প্রকাণ্ড গম্বুজ ওয়ালা বৃহৎ অট্টালিকা, যা এই অঞ্চলে সুদৃঢ় অট্টালিকা বলে খ্যাত। এটি সাধারণত গম্বুজ বলে অভিহিত। এই গম্বুজটি সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে তার বিশ্বস্ত কর্মী ফরহাদ খান দ্বারা নির্মিত। গম্বুজের দক্ষিণে দরগাহ মসজিদ নামে খ্যাত মুসলমানদের একটি বৃহৎ উপসানাগার রয়েছে। বাংলার সুলতান আবু মুজাফফর ইউসুফ শাহের সময় কালে ( ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দে ) মন্ত্রী মজলিশে আতার কর্তৃক দরগাহ চত্বরে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তিতে বাহারাম খান ফৌজদারের সময়ে (১৭৪৪ খ্রিঃ) পূর্ণনির্মিত হয়। সিলেট শহরের মুসলমানদের উপাসনাগার হিসেবে এই মসজিদই সর্ব বৃহৎ। উক্ত মসজিদের সম্মুখে উত্তর দক্ষিণ হয়ে লম্বালম্বি প্রকাণ্ড প্রাঙ্গণ রয়েছে। টিলার উপর পাথরের গাঁথুনী দিয়ে অতি সুদৃঢ়ভাবে প্রাঙ্গণটি প্রস্তত করা হয়েছে। টিলা হতে নিচে অবতরণের জন্য উক্ত প্রাঙ্গণের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে সিঁড়ি আছে। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসলে দরগাহ টিলা ঘেঁষে একচালা একটি ঘর পাওয়া যায়। এই ঘর মহিলা দর্শনার্থীদের উপাসনার জন্য নির্মিত। ইহার উত্তরে মুসল্লীদের অজুর জন্য (নতুন ভাবে প্রস্তত) টাব সিস্টেমে পানির ব্যবস্থা রয়েছে। এখান থেকে অল্প পরিসর উত্তরে একটি বড় পুকুরে গজার জাতীয় মাছ সাঁতার কেটে বেড়ায় এবং খাবার দেখিয়ে ডাক দিলে কুলে এসে ভীড় জমায়। দরগাহ পুকুরের গজার মাছ সম্পর্কে প্রচলিত লোককাহিনী অনুসারে, শাহ জালাল এগুলোকে পুষেছিলেন। যে কারণে জিয়ারতকারী সহ সিলেটের আধিবাসীরা আজও প্রথাগতভাবে গজার মাছের প্রতি স্নেহ দেখিয়ে আসছেন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অজ্ঞাত লোকেরা বিষ প্রয়োগে পুকুরের প্রায় ৭শ’রও বেশি গজার মাছ হত্যা করে। ফলে পুকুরটি গজার মাছ শুন্য হয়ে পড়ে। পরে হযরত শাহ জালালের অপর সফরসঙ্গী মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফার মাজারের পুকুর থেকে ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে ২৪ টি গজার মাছ এনে পুকুরে ছাড়া হয়। বর্তমানে পুকুরের গজার মাছের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়। দরগাহ পুকুরের ঠিক উত্তর পাশে ও দরগাহ টিলার পূর্বে একটি বড় আঙ্গিনা রয়েছে। উক্ত আঙ্গিনার উত্তর-পূর্বে একটি বৃহৎ লঙ্গরখানা ছিল। অনেক কাল পূর্বে ইহা পর্যটক, বিদেশাগত দর্শক ও গরীব দুঃখিদের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতো। যা বর্তমানে পরিবেশজনিত কারণে বন্ধ আছে। লঙ্গরখানার পূর্বদিকে অন্য একটি ঘরে তামার নির্মিত দুটি বড় বড় ডেগচী রয়েছে। যার একেকটিতে সাতটি গরু ও সাত মন চাউল এক সাথে পাক করা যায়। উক্ত ডেগচীর কিনারায় ফার্সী ভাষা লিখিত, জাহাঙ্গীরনগর (ঢাকার পুরানো নাম) নিবাসী ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র শায়খ আবু সাঈদ ইহা (ডেগচী) তৈরি করিয়ে মুরাদ বখস কর্তৃক দরগাহে পাঠানো হয়েছিলো। সন তারিখঃ- রমজান ১১০৬ হিঃ (১৬৯৫ খ্রিঃ)। দরগাহের আঙ্গিনার পূর্ব সীমায় ও ডেগচী ঘরের অল্প পরিসর দহ্মিণে উত্তর দক্ষিণে লম্বালম্বি একটি প্রশস্থ দেওয়াল ইহার মধ্যস্থলে দরগাহের প্রধান প্রবেশ পথ। যা দরগাহ গেইট হিসেবে খ্যাত। দরগাহ গেইটের দক্ষিণ দিকে ছাত্রাবাস সহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে


দরগাহের ইতিহাস

সিলেট বিজয়ের পর দিল্লীর সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহ, শাহ জালালকে সিলেটের শাসনভার গ্রহণের প্রস্তাব করেন। কিন্তু শাহ জালাল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তিতে সুলতান বিশেষ ঘোষণা জারি করে সিলেট শহরের (কসবে সিলেট) খাজানা মুক্ত করে দরবেশকে সম্মানীত করেন যা এখনো (দরগাহর সংশ্লিষ্ট এলাকা) বলবত আছে। সুলতানি আমল হতে প্রথা অনুযায়ী নবাব, বাদশা বা রাজকর্মচারীদের মধ্যে যারা সিলেট আসতেন, নানা প্রকার দালান ইত্যাদি নির্মাণ করে সম্মানের সাথে দরগাহের সংস্কার ও প্রসার সাধন করতেন। দরগাহ চত্বরে অবস্থিত স্থাপনা গুলো সুলতান ও মোগলদের আমলের নির্মিত বলে তাম্রফলক ও প্রস্তরফলকে লিখিত বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। যেমন; সিলেট শহরের সর্ব বৃহৎ দরগাহ মসজিদের ফলকে লিখিত তথ্যে আছে, ‘বাংলার সুলতানদের কর্তৃক ১৪০০ সালে ইহা নির্মিত। শাহ জালালের সমাধি ঘিরে যে দেওয়াল রয়েছে তা লুত্ফুল্লাহ আমীন বকশী কর্তৃক নির্মিত বলে একটি ফলক সূত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। এভাবে বিভিন্ন দালান, মসজিদ ও পুকুর ঘাট ইত্যাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাসনকর্তা সহ বাদশা ও সুলতানদের দ্বারা শাহ জালালের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে তৈরি বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া দরগাহের লঙ্গখানায় অর্থ সাহায্য, খাদেমগনের জন্য জায়গির ব্যবস্থা, দরগাহের আলোক সজ্জা ইত্যাদি অনুদান সুলতানগণ ও মোগল বাদশাহদের দরবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিভিন্ন বিবরণীতে পাওয়া যায়। যখনই দিল্লীর রাজপুরুষগণ সিলেটের শাসনকর্তা নিযুক্ত হতেন, প্রথা অনুযায়ী; শাসন ভার গ্রহণের পূর্বে দরগাহে এসে জিয়ারত সম্পন্য করে দরগাহের স্থলাভিষিক্ত খাদেমগণ কর্তৃক স্বীকৃত হয়েই কার্যভার গ্রহণ করতেন এবং এ প্রথা ব্রিটিশ রাজত্বের প্রারম্ভ কাল পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। দরগাহের পুরানো রেকড পত্র অনুসন্ধানে পরিলক্ষিত হয়, দিল্লীর রাজপুরুষগণ রাজকীয় আড়ম্বরে দরগায় এসে পৌছলে পরে, খানকার শেখ রাজপুরুষদের মাথায় পাগড়ি বেঁধে অনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতি শাহ জালালের মনোনয়ন জ্ঞাপন না করা পর্যন্ত জনসাধারণ তাদেরকে শাসনকর্তা হিসেবে গ্রহণ করতেন না।

কখন যাবেন
মাজার জেয়ারতের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিনই সিলেট যায়। তাই বলা যায় সারাবছরের যেকোনো সময়েই এই মাজার দর্শন করা যাবে।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে হযরত শাহজালাল দরগাহর দূরত্ব
ঢাকা ২৩৬ কি.মি.
রাজশাহী ৪৪৯ কি.মি.
রংপুর ৫০১ কি.মি.
সিলেট ৮ কি.মি.
ময়মনসিংহ ১৭৭ কি.মি.
খুলনা ৪৩৯ কি.মি.
বরিশাল ৪০১ কি.মি.
চট্টগ্রাম ৩৮৬ কি.মি.

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • গাবতলী
  • সায়েদাবাদ
  • ফকিরাপুল
  • মহাখালী

(গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়।)

বাস সমূহ:-
  • গ্রীন লাইন পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন
  • এস আলম পরিবহন
  • শ্যামলী পরিবহন
  • এনা পরিবহন (মহাখালী হয়ে টুঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে যায়)
  • হানিফ পরিবহন
  • ইউনিক সার্ভিস

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ট্রেন সমূহ:
  • উপবন এক্সপ্রেস (বুধবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯.৫০ মিনিটে ছাড়ে)
  • জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন দুপুর ২ টায় ছাড়ে)
  • পারাবত এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৬.৪০ মিনিটে ছাড়ে)
  • কালনী এক্সপ্রেস (শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৪ টায় ছাড়ে)

(ট্রেনে গেলে উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াই বেশি সুবিধাজনক। ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন হয়। তাই আগে একটু খোঁজ নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।)

বিমান বিমানসমূহ:
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • ইউনাইটেড এয়ার
  • রিজেন্ট এয়ার
  • নভো এয়ার
  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • রাজশাহী বাসস্ট্যান্ড

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[রাজশাহী থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • পদ্মা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো]

বিমান বিমানসমূহ:
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • ঢাকা বাসস্টান্ড (কামারপাড়া)
  • পাগলাপীর
  • জাইগীরহাট

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
  • এনা পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[রংপুর থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

[রংপুরে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় সৈয়দপুর থেকে আপনাকে সিলেট যেতে হবে।]

বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • দামপাড়া
  • কর্ণেল হাট
  • অলংকার

বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
  • উদয়ন এক্সপ্রেস
বিমান বিমানসমূহ:
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভো এয়ার

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • কালিবাড়ি

বাস সমূহ:-

  • সাগরিকা এন্টারপ্রাইজ
  • ইউনাইটেড
  • শামীম এন্টারপ্রাইজ
  • প্রাইম এন্টারপ্রাইজ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[ময়মনসিংহ থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ময়মনসিংহ মেইল
  • মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস
  • যমুনা এক্সপ্রেস
  • ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস
  • হাওর এক্সপ্রেস
  • তিস্তা এক্সপ্রেস
  • জামালপুর এক্সপ্রেস
  • আগ্নিবীণা এক্সপ্রেস

খুলনা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো বাস নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।]

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ফুলতলা
  • ফুলবাড়ি গেট
  • দৌলতপুর
  • নতুন রাস্তা
  • আফিল গেট
  • বয়রা বাজার

ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • টাইম ট্রেভেলস
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • সোহাগ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস
বিমান

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • বরিশাল বাসস্ট্যান্ড (নাটুল্লাবাদ)

বাসসমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন

থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

আবাসিক হোটেলসমূহ
  • হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে)
  • হোটেল নির্ভানা ইনন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল)
  • হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট)
  • হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ)
  • সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পার্শ্বে)
  • হোটেল উর্মি (মাজার শরীফ পূর্ব গেইট)
  • হোটেল রোজ ভিউ (শাহ জালাল উপশহর)
  • হোটেল হিল টাউন (ভিআইপি রোড)
  • হোটেল ফরচুন গার্ডেন (নাইত্তর পুল)
  • হোটেল ডালাস (জেল সড়ক)
  • হোটেল গার্ডেন ইনন (লিংক রোড)
  • হোটেল পলাশ (আম্বরখানা)
  • হোটেল দরগা গেইট (দরগা এলাকা)
  • হোটেল মুন লাইট (জিন্দাবাজার)
  • হোটেল গুলশান সেন্টার (তালতলা)

 (উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।)

রেস্টুরেন্টসমূহ জিন্দা বাজারে খাবার হোটেল:
  • পাঁচ ভাই
  • পানশি
  • ভোজনবাড়ী
  • স্পাইসি
  • পালকি

জাফলং রোড, মিরাবাজারে খাবার হোটেল:

  • এক্সোটিকা রেস্টুরেন্ট
  • হোটেল সুপ্রীম

অন্যান্য খাবার হোটেলসমূহ:

  • উনদাল (পূর্ব জিন্দাবাজার)
  • আল পাইন রেস্টুরেন্ট (চৌহাট্টা)

(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।)

(লালা বাজার ও দরগা রোডে কমবেশি অনেক রেস্ট হাউস রয়েছে)


সিলেট ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইলadmin@biratbazar.com

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
 

 

হযরত শাহজালাল (র.) এর জীবনী ও সিলেট জয়
১। হযরত শাহজালাল রহ.
Leave a Comment

Recent Posts

মালনীছড়া চা বাগান

উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রাচীন প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে… Read More

2 weeks ago

Malnicherra Tea Garden

The Malnicherra Tea Garden, the oldest and largest established tea plantation in the Indian subcontinent, is located on the outskirts… Read More

2 weeks ago

হযরত শাহজালাল রহ.

শাহ জালাল (রাহ.) বাংলার একজন প্রখ্যাত সুফি দরবেশ। শুধু বাংলার নয়, সম্পূর্ণ পাক-ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি বিখ্যাত। পুরো নাম শাহ জালাল… Read More

1 month ago

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে (বান্দরবান-কেরাণীহাট) সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে… Read More

2 months ago

Meghla Tourism Complex

Meghla Tourism Complex is located at the entrance of Bandarban district, along the Bandarban-Keranihat road, adjacent to the Hill District… Read More

2 months ago

বাকলাই জলপ্রপাত

বাকলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “বাক্তলাই ঝর্ণা” নামেও পরিচিত। মুলত কেওক্রাডং… Read More

3 months ago

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the schema-and-structured-data-for-wp domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/birajcrj/public_html/blog/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/birajcrj/public_html/blog/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math-pro domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/birajcrj/public_html/blog/wp-includes/functions.php on line 6114