বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত জনপ্রিয় সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্থাপত্য সৌন্দর্যের জন্য। নৌবাহিনীর নেভার একাডেমি ও শাহ আমানত বিমানবন্দরের কাছেই এই সৈকতটির অবস্থান। এই সৈকতটি ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের বিশেষ দিকগুলি
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ইতিহাস
কখন যাবেন |
---|
বছরের সকল সময়েই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসা যায়। তবে বর্ষাকালে ভারী বর্ষণে রাস্তা কর্দমাক্ত হতে পারে এবং অনেক সুবিধা গ্রহণে বাধা পেতে পারেন। |
বিশেষ পরামর্শ |
অপরিচিত লোকদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন, নতুবা চাঁদাবাজের/সিনতাইকারীর খপ্পরে পরতে পারেন। কোনো সমস্যা হলে ভ্রাম্যমাণ পুলিশ ফাঁড়ি অথবা নিকটস্থ থানায় বিষয়টি অবহিত করবেন। স্থানীয় এবং দোকান ব্যবসায়ীদের সাথে তর্কে জরাবেন না। অধিক লোকের সমাগম আছে এমন জায়গায় অবস্থান করবেন। স্পিডবোট, নৌকা বা ঘোড়া যেখানেই চড়ুন, আগে ভাড়ার বিষয়ে বুঝে নিবেন। |
বিশেষ সতর্কতা |
সৈকতে ঘুরতে গিয়ে কোনো আপত্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে দলবেধে যাওয়াই ভালো। কোনো দম্পতি যেতে চাইলে সাথে ভোটার আইডি কার্ড সহ দরকারি প্রমাণাদি সঙ্গে রাখবেন। নতুবা ঝামেলায় পরতে পারেন। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নেভার একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পাশে হওয়ায় রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো। তবুও রাতে একা অথবা সঙ্গে মেয়ে নিয়ে ঘোরাফেরা করা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেও বিপদজনক। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব |
|
ঢাকা | ২৬২ কি.মি. |
রাজশাহী | ৫০১ কি.মি. (সিরাজগঞ্জ হয়ে গেলে) |
রংপুর | ৫৫৭ কি.মি. |
সিলেট | ৩৮৭ কি.মি. |
ময়মনসিংহ | ৩৭২ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে) |
খুলনা | ৩৫৫ কি.মি. (বাগেরহাট → পিরোজপুর → বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে) |
বরিশাল | ২৫২ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে) |
চট্টগ্রাম | ৪০ কি.মি. (এয়ারপোর্ট হয়ে গেলে) |
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে |
|
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় |
|
বাস | ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) |
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ- ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান | চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন | চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান | চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন | চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
খুলনা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান | চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো জায়গা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম শহরে যেকোনো জায়গা থেকে সিএনজি করে এখানে আসা যায়। এছাড়াও সী বিচ গামী বাস নিউ মার্কেট, রেল স্টেশন রোড, বদ্দার হাট, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড় অথবা চকবাজার মোড় থেকে পাওয়া যায়। তবে বাসে উঠার আগে জেনে নিবেন সী বিচ পর্যন্ত যাবে কিনা। যদি বাস ফ্রিপোর্ট অথবা কাঠগড় যায়, তাহলেও সেখানে নেমে আপনি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যেতে পারবেন। সেখানে নেমে ইজিবাইকে বীচে যেতে হবে। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা (আবাসিক হোটেলসমূহ) |
|
১। হোটেল বেলমন্ড সিটি
সমুদ্র সৈকত রোড
|
ন্যাভাল বীচ ও বাটারফ্লাই পার্ক থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে হোটেল বেলমন্ড সিটি অবস্থিত। এখানে সুন্দর ও ছিমছাম রুম পাবেন। রুমগুলো আঁকারে ১৫০ থেকে ২৫০ বর্গফুট। প্রতিটি রুমেই মূল্যবান জিনিস রাখতে লকার দেওয়া আছে। হোটেল থেকে মাত্র দশ মিনিট হেঁটে সৈকতে যাওয়া যায়। থাকার জন্য সাধারণ ও বিলাসবহুল দুরকমের রুম নেয়ার সুবিধা আছে। এছাড়া বিনামূল্যে গাড়ি পার্কিং এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সেফটি ডিপোজিট বক্সের সুবিধা আছে। |
২। ব্রিসা মারিনা সিবিসি রিসোর্ট
১১ নং ঘাট, বিমানবন্দর রোড, পূর্ব পতেঙ্গা |
শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত ব্রিসা মারিনা সিবিসি রিসোর্ট। এখানে শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমুগুলোতে টিভি, মিনিবার ও বারান্দা আছে। রুমের মধ্যে বাহিরের আওয়াজ আসেনা। শৌচাগারের জিনিসপত্র ব্যবহারে আলাদা কোনো খরচ করতে হয়না। এছাড়াও সুইমিং পুল, শরীরচর্চা করার জন্য ব্যায়ামাগার এবং হাটাহাটি করার জন্য সুন্দর একটি বাগান রয়েছে। |
৩। অর্কিড বিসনেস হোটেল
১৭৩৯, শেখ মুজিব রোড |
হোটেলটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হোটেলের উঁচু বিল্ডিং থেকে সারা শহরের দৃশ্য পাওয়া যায়। সাজানো গোছানো এই হোটেলে বিশাল চত্বর ও সুইমিং পুল রয়েছে। |
৪। বাটারফ্লাই পার্ক রিসোর্ট
১৫ ন্যাভাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রোড |
এই রিসোর্ট এর একটি বড় বিশেষত্ব এখানে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বাহারি প্রজাপতি দেখা যায়। এখানে রেস্তোরাতে “ক্যান্ডল লাইট ডিনার” করার সুবিধা আছে। শিশুদের জন্য অনেক ধরণের রাইডের পাশাপাশি পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে। |
৫। হোটেল প্যারামাউন্ট
১৭০, স্টেশন রোড |
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। নতুন রেলওয়ে স্টেশনের ঠিক উলটো দিকেই এই হোটেলের অবস্থান। এখানে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে জামা কাপড় পরিষ্কার করার সুযোগ আছে। |
৬। হোটেল এশিয়ান এস.আর
২৯১, স্টেশন রোড |
চট্টগ্রাম মূল বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনের মাত্র ১০০ মিটার দূরেই এর অবস্থান। এই হোটেলের সব রুমেই ব্যাগ রাখার জায়গা এবং জামাকাপড় ধুয়ে শুকানোর ব্যবস্থা আছে। |
৭। হোটেল ল্যান্ডমার্ক
৩০৭২, শেখ মুজিব রোড |
শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অর্কিড বিসনেস হোটেলের কাছাকাছি হোটেল ল্যান্ডমার্ক অবস্থিত। ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা সুবিধা ও জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা সুবিধা এই হোটেলের বিশেষত্ব। এছাড়া এখানে বড় কনফারেন্স রুম আছে। |
এছাড়াও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল (CEPZ) এলাকায় অনেক মধ্যমানের হোটেল রয়েছে। |
ভ্রমণের সুবিধা হল–
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com
উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রাচীন প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে… Read More
The Malnicherra Tea Garden, the oldest and largest established tea plantation in the Indian subcontinent, is located on the outskirts… Read More
শাহ জালাল (রাহ.) বাংলার একজন প্রখ্যাত সুফি দরবেশ। শুধু বাংলার নয়, সম্পূর্ণ পাক-ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি বিখ্যাত। পুরো নাম শাহ জালাল… Read More
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে (বান্দরবান-কেরাণীহাট) সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে… Read More
Meghla Tourism Complex is located at the entrance of Bandarban district, along the Bandarban-Keranihat road, adjacent to the Hill District… Read More
বাকলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “বাক্তলাই ঝর্ণা” নামেও পরিচিত। মুলত কেওক্রাডং… Read More
Leave a Comment