Categories: Travel Guide

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত


বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত জনপ্রিয় সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্থাপত্য সৌন্দর্যের জন্য। নৌবাহিনীর নেভার একাডেমি ও শাহ আমানত বিমানবন্দরের কাছেই এই সৈকতটির অবস্থান। এই সৈকতটি ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ।


পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের বিশেষ দিকগুলি

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এই  সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছে। তাই বালুকাময় সৈকতের পাশাপাশি ওয়াকওয়ের বর্ণিল ইটের ওপর বসে বন্দরে ভেড়ানো ছোট ও বড় জাহাজগুলোর মধ্য দিয়ে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও সূর্যাস্তের পর ওয়াকওয়ে ও জাহাজগুলোতে আলো জ্বলে উঠলে সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। সৈকতটিতে ভ্রমণকালে ওয়াকওয়ের বিপরীত দিকে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে বাহারি স্ট্রিট ফুডের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ইতিহাস

ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া কর্ণফুলী নদী রাঙ্গামাটি এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পতেঙ্গা সৈকতের কাছে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতগুলো আগে থেকেই পর্যটকদের দখলে ছিল। কিন্তু ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তী সময়ে সৈকতজুড়ে ভাঙ্গন ঠেকাতে কংক্রিটের দেয়াল, বড় বড় পাথরের খন্ড ও সিমেন্ট দিয়ে বেড়ি বাঁধ তৈরি করা হয়। সৈকতটির রক্ষণাবেক্ষণ করায় এর সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায় এবং পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পর্যটক সংখ্যা বাড়লে তাদের আকর্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিংরোড প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সৈকতে ওয়াকওয়ে, সুন্দর ও সুপরিসর আসন, খেলার মাঠ, সাগরে সাতারের পর গোসলের ব্যবস্থা, আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা, কার পার্কিং সুবিধা, জাহাজে নিরাপদে ওঠানামার জন্য জেটি ব্যবস্থা, স্পিড-বোট, সী বাইক ও ঘোড়া ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়।
কখন যাবেন
বছরের সকল সময়েই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসা যায়। তবে বর্ষাকালে ভারী বর্ষণে রাস্তা কর্দমাক্ত হতে পারে এবং অনেক সুবিধা গ্রহণে বাধা পেতে পারেন।
বিশেষ পরামর্শ
অপরিচিত লোকদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন, নতুবা চাঁদাবাজের/সিনতাইকারীর খপ্পরে পরতে পারেন। কোনো সমস্যা হলে ভ্রাম্যমাণ পুলিশ ফাঁড়ি অথবা নিকটস্থ থানায় বিষয়টি অবহিত করবেন। স্থানীয় এবং দোকান ব্যবসায়ীদের সাথে তর্কে জরাবেন না। অধিক লোকের সমাগম আছে এমন জায়গায় অবস্থান করবেন। স্পিডবোট, নৌকা বা ঘোড়া যেখানেই চড়ুন, আগে ভাড়ার বিষয়ে বুঝে নিবেন।
বিশেষ সতর্কতা
সৈকতে ঘুরতে গিয়ে কোনো আপত্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে দলবেধে যাওয়াই ভালো। কোনো দম্পতি যেতে চাইলে সাথে ভোটার আইডি কার্ড সহ দরকারি প্রমাণাদি সঙ্গে রাখবেন। নতুবা ঝামেলায় পরতে পারেন। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নেভার একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পাশে হওয়ায় রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো। তবুও রাতে একা অথবা সঙ্গে মেয়ে নিয়ে ঘোরাফেরা করা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেও বিপদজনক।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব
ঢাকা ২৬২ কি.মি.
রাজশাহী ৫০১ কি.মি. (সিরাজগঞ্জ হয়ে গেলে) 
রংপুর ৫৫৭ কি.মি. 
সিলেট ৩৮৭ কি.মি.
ময়মনসিংহ ৩৭২ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)
খুলনা ৩৫৫ কি.মি. (বাগেরহাট → পিরোজপুর → বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে)
বরিশাল ২৫২ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে)
চট্টগ্রাম ৪০ কি.মি. (এয়ারপোর্ট হয়ে গেলে)

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
  • ফকিরাপুল
  • সায়েদাবাদ
  • কলাবাগান
  • আব্দুল্লাহপুর
  • গাবতলী
  • কল্যাণপুর
  • যাত্রাবাড়ি
  • আরামবাগ

(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) 

বাস সমূহ:-
  • শ্যামলী
  • হানিফ
  • এস আলম
  • ডলফিন
  • ইউনিক
  • সৌদিয়া 
  • ঈগল
  • সেন্টমার্টিন
  • গ্রীনলাইন
  • এনা
ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
  • মহানগর প্রভাতী (৭০৪)
    ছাড়ায় সময় ০৭:৪৫
    পৌছানোর সময় ১৪:০০ (প্রতিদিন)
  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (৭০২) 
    ছাড়ার সময় – ০৪:৪৭ পি.এম
    পৌছানোর সময় – ০৯:৫০ পি.এম (শুধু সোমবার চলে)
  • মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২)
    ছাড়ায় সময় ২১:২০
    পৌছানোর সময় ০৪:৫০ (রবিবার বন্ধ)
  • তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪২)
    ছাড়ায় সময় ২৩:৩০
    পৌছানোর সময় ০৬:২০ (প্রতিদিন)
  • সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৮)
    ছাড়ায় সময় ০৭:০০
    পৌছানোর সময় ১২:১৫ (বুধবার বন্ধ)
  • চট্টগ্রাম মেইল (০২)
    ছাড়ায় সময় ২২:৩০
    পৌছানোর সময় ০৭:২৫ (প্রতিদিন)
  • কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৪)
    ছাড়ায় সময় ০৮:৩০
    পৌছানোর সময় ১৮:০০ (প্রতিদিন)
  • চট্টলা এক্সপ্রেস (৬৪)
    ছাড়ায় সময় ১৩:০০
    পৌছানোর সময় ২০:৫০ (মঙ্গলবার বন্ধ)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • রাজশাহী বাস স্টান্ড
  • বানেশ্বর
  • বিনোদপুর
  • কাজলা
  • কাটাখালি
  • পুটিয়া
  • রাজাবাড়ি
  • শিরুল 

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এভারগ্রীন পরিবহন
  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • পদ্মা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো)

বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • ঢাকা (কামার পাড়া) বাসস্টান্ড

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
  • শ্যামলী
  • শান্ত ট্রাভেল
  • শাহ্‌ ফতেহ আলী

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • সিলেট বাসস্টান্ড
  • কদমতলী
  • হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর
  • সোভানি ঘাট

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
  • জালালাবাদ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র শনিবার চলে)
  • উদয়ন এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র রবিবার চলে)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
  • এনা পরিবহন
  • সৌখিন পরিবহন
  • আলম এশিয়া
  • স্বপ্নভুমি পরিবহন
  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
  • ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • বিজয় এক্সপ্রেস (বুধবার বন্ধ)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

খুলনা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায়

বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • সোনাডাঙ্গা
  • র‍য়্যাল চত্ত্বর
  • রয়্যাল মোড়
  • দৌলতপুর
  • ফকিরহাট
  • ফুলবাড়ি গেট
  • ফুলতলা বাস স্ট্যান্ড
  • কাটাখালি বাস স্টান্ড
  • খুলনা জিরো পয়েন্ট
  • খুলনা বাস স্টান্ড

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • সৌদিয়া কোচ
  • টাইম ট্রাভেলস
  • রয়্যাল ট্রাভেলস

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ)
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায়

বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
  • নাটুল্লাবাদ

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-

  • হানিফ 
  • এনা 
  • সোহাগ
  • লাবিবা ক্লাসিক
  • সেভেন স্টার ডিলাক্স
  • সৌদিয়া কোচ

চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো জায়গা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

চট্টগ্রাম শহরে যেকোনো জায়গা থেকে সিএনজি করে এখানে আসা যায়। এছাড়াও সী বিচ গামী বাস নিউ মার্কেট, রেল স্টেশন রোড, বদ্দার হাট, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড় অথবা চকবাজার মোড় থেকে পাওয়া যায়। তবে বাসে উঠার আগে জেনে নিবেন সী বিচ পর্যন্ত যাবে কিনা। যদি বাস ফ্রিপোর্ট অথবা কাঠগড় যায়, তাহলেও সেখানে নেমে আপনি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যেতে পারবেন। সেখানে নেমে ইজিবাইকে বীচে যেতে হবে।


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা (আবাসিক হোটেলসমূহ)

১। হোটেল বেলমন্ড সিটি

সমুদ্র সৈকত রোড
ন্যাভাল বীচ ও বাটারফ্লাই পার্ক থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে হোটেল বেলমন্ড সিটি অবস্থিত। এখানে সুন্দর ও ছিমছাম রুম পাবেন। রুমগুলো আঁকারে ১৫০ থেকে ২৫০ বর্গফুট। প্রতিটি রুমেই মূল্যবান জিনিস রাখতে লকার দেওয়া আছে। হোটেল থেকে মাত্র দশ মিনিট হেঁটে সৈকতে যাওয়া যায়। থাকার জন্য সাধারণ ও বিলাসবহুল দুরকমের রুম নেয়ার সুবিধা আছে। এছাড়া বিনামূল্যে গাড়ি পার্কিং এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সেফটি ডিপোজিট বক্সের সুবিধা আছে।
২। ব্রিসা মারিনা সিবিসি রিসোর্ট

১১ নং ঘাট, বিমানবন্দর রোড, পূর্ব পতেঙ্গা

শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত ব্রিসা মারিনা সিবিসি রিসোর্ট। এখানে শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমুগুলোতে টিভি, মিনিবার ও বারান্দা আছে। রুমের মধ্যে বাহিরের আওয়াজ আসেনা। শৌচাগারের জিনিসপত্র ব্যবহারে আলাদা কোনো খরচ করতে হয়না। এছাড়াও সুইমিং পুল, শরীরচর্চা করার জন্য ব্যায়ামাগার এবং হাটাহাটি করার জন্য সুন্দর একটি বাগান রয়েছে।
৩। অর্কিড বিসনেস হোটেল

১৭৩৯, শেখ মুজিব রোড

হোটেলটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হোটেলের উঁচু বিল্ডিং থেকে সারা শহরের দৃশ্য পাওয়া যায়। সাজানো গোছানো এই হোটেলে বিশাল চত্বর ও সুইমিং পুল রয়েছে।
৪। বাটারফ্লাই পার্ক রিসোর্ট

১৫ ন্যাভাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রোড

এই রিসোর্ট এর একটি বড় বিশেষত্ব এখানে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বাহারি প্রজাপতি দেখা যায়। এখানে রেস্তোরাতে “ক্যান্ডল লাইট ডিনার” করার সুবিধা আছে। শিশুদের জন্য অনেক ধরণের রাইডের পাশাপাশি পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে।
৫। হোটেল প্যারামাউন্ট

১৭০, স্টেশন রোড

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। নতুন রেলওয়ে স্টেশনের ঠিক উলটো দিকেই এই হোটেলের অবস্থান। এখানে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে জামা কাপড় পরিষ্কার করার সুযোগ আছে।
৬। হোটেল এশিয়ান এস.আর

২৯১, স্টেশন রোড

চট্টগ্রাম মূল বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনের মাত্র ১০০ মিটার দূরেই এর অবস্থান। এই হোটেলের সব রুমেই ব্যাগ রাখার জায়গা এবং জামাকাপড় ধুয়ে শুকানোর ব্যবস্থা আছে।
৭। হোটেল ল্যান্ডমার্ক

৩০৭২, শেখ মুজিব রোড

শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অর্কিড বিসনেস হোটেলের কাছাকাছি হোটেল ল্যান্ডমার্ক অবস্থিত। ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা সুবিধা ও জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা সুবিধা এই হোটেলের বিশেষত্ব। এছাড়া এখানে বড় কনফারেন্স রুম আছে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল (CEPZ) এলাকায় অনেক মধ্যমানের হোটেল রয়েছে।


ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নেবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইলadmin@biratbazar.com

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
Leave a Comment

Recent Posts

মালনীছড়া চা বাগান

উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রাচীন প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে… Read More

1 week ago

Malnicherra Tea Garden

The Malnicherra Tea Garden, the oldest and largest established tea plantation in the Indian subcontinent, is located on the outskirts… Read More

1 week ago

হযরত শাহজালাল রহ.

শাহ জালাল (রাহ.) বাংলার একজন প্রখ্যাত সুফি দরবেশ। শুধু বাংলার নয়, সম্পূর্ণ পাক-ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি বিখ্যাত। পুরো নাম শাহ জালাল… Read More

1 month ago

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে (বান্দরবান-কেরাণীহাট) সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে… Read More

2 months ago

Meghla Tourism Complex

Meghla Tourism Complex is located at the entrance of Bandarban district, along the Bandarban-Keranihat road, adjacent to the Hill District… Read More

2 months ago

বাকলাই জলপ্রপাত

বাকলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “বাক্তলাই ঝর্ণা” নামেও পরিচিত। মুলত কেওক্রাডং… Read More

3 months ago